নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই সদস্যভুক্ত) আরও তিনটি ব্রোকারেজ হাউসকে অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এসব ব্রোকারেজ হাউসকে শেয়ার কেনাবেচা করার জন্য ট্রেক সনদ (ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট) দেবে ডিএসই। সম্প্রতি ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে নতুন ট্রেক অনুমোদন-সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।
নতুন অনুমোদন পাওয়া ব্রোকারেজ হাউসগুলো হলোÑফারিহা নিট টেক্স, এসকিউ ওয়্যার অ্যান্ড কেবল কোম্পানি ও গিবসন সিকিউরিটিজ। এর ফলে নতুন ট্রেকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৮টি। আর ডিএসইর সদস্যভুক্ত মোট ব্রোকারেজ হাউস বা ট্রেকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ২৮৩টি।
বিএসইসি’র পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট) রেগুলেশন, ২০২০-এর রেগুলেশন ৩(১) (গ) এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট) রুলস, ২০২০-এর সাব-রুল ৩(১) ও (২) অনুযায়ী ডিএসই’র নতুন ট্রেক ইস্যু করা হয়েছে। এর পরিস্থিতিতে ডিএসই’র নতুন ট্রেকগুলোর আবেদন প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া এবং প্রাসঙ্গিক বিধিবিধান মেনে চলা সাপেক্ষে অনুমোদিত হয়েছে।
এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিকুঞ্জে ডিএসই টাওয়ারের মাল্টিপারপাস হলে আনুষ্ঠানিকভাবে ৫৫টি অনুমোদন পাওয়া ব্রোকারেজ হাউসগুলোর কাছে ট্রেক সনদ হস্তান্তর করা হয়। তার আগে গত ১৮ মে প্রথম দফায় ৩০টি, ২১ জুন দ্বিতীয় দফায় ১৬টি এবং ২৬ আগস্ট তৃতীয় দফায় ৯টি ব্রোকারেজ হাউসের অনুমোদন দেয় বিএসইসি। এরপর চতুর্থ দফায় আরও ৩টি ব্রোকারেজ হাউসের অনুমোদন দেয়া হলো।
তথ্যমতে, শেয়ার বাজারের পরিধি বাড়াতে নতুন ট্রেক বাড়ানো সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন ট্রেক ইস্যুর বিষয়ে ২০২০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় কমিশন। পরে ২০২১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ৯৯০তম পরিচালনা পর্ষদের সভায় সংশ্লিষ্ট বিধিমালা পরিপালন ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নতুন ট্রেক অনুমোদন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ডিএসই। এরপর ডিএসইর ওয়েবসাইট ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে নতুন ট্রেকের জন্য আবেদন জমা দেয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
প্রথম দফায় নতুন ট্রেকের জন্য আবেদন জমা দেয়ার মেয়াদ ১৮ মার্চ পর্যন্ত রাখা হয়। তবে ওই সময়ের মধ্যে পর্যাপ্ত সাড়া না পাওয়ায় দ্বিতীয় দফায় আবেদন গ্রহণের মেয়াদ ২৮ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এ সময়ে মোট ৬৬টি প্রতিষ্ঠানের ট্রেক সার্টিফিকেট নেয়ার জন্য আবেদন করে। যাচাই-বাছাই শেষে প্রথম ধাপে বিভিন্ন কারণে ১৫টি প্রতিষ্ঠানের আবেদন বাতিল হয়। ফলে ট্রেক সার্টিফিকেট প্রদানের যোগ্য এমন ৫১টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা বিএসইসিতে পাঠায় ডিএসই। পরে বিএসইসির নির্দেশে আরও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের নাম তালিকায় যুক্ত করে ডিএসই। সব মিলিয়ে ডিএসইর প্রস্তাবিত ট্রেকের আবেদনের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৮টি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসই’র প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) এম. সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘ডিএসই’র সদস্যভুক্ত আরও ৩টি ব্রোকারেজ হাউসকে অনুমোদন দিয়েছে বিএসইসি। এর ফলে নতুন ব্রোকারেজ হাউসের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮টি। নতুন ট্রেক লাইসেন্স প্রাপ্ত ব্রোকারেজ হাউসগুলো যাতে দ্রুত বাণিজ্যিক কার্যক্রমে আসতে পারে সে জন্য ডিএসই’র পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, ট্রেক হলো শেয়ারবাজারে লেনদেন করার জন্য মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান, যার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কেনাবেচা করতে পারেন।