নিজস্ব প্রতিবেদক: তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রূপান্তর করে পাইপলাইনে সরবরাহের জন্য কক্সবাজারের মহেশখালীতে দুটি ভাসমান টার্মিনাল রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সামিটের টার্মিনালটি। গত ২৭ মে থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে এ টার্মিনালের। আরও অন্তত তিন সপ্তাহ সামিটের টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকতে পারে।
দেশে দিনে গ্যাসের চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট। দিনে সর্বোচ্চ সরবরাহ করা হয় ৩০০ থেকে ৩১০ কোটি ঘনফুট পর্যন্ত। এর মধ্যে এলএনজি থেকে আসে ১১০ কোটি ঘনফুট। একটি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় এখন দিনে সরবরাহ হচ্ছে প্রায় ২৬০ কোটি ঘনফুট। এতে শিল্পকারখানাসহ বিভিন্ন খাতে গ্যাসের সরবরাহ কমে গেছে।
গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি সচিব মো. নূরুল আলম বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত সামিট গ্রুপের টার্মিনালটি মেরামত করা সম্ভব হয়নি। এটি মেরামত করতে সিঙ্গাপুর নিতে হবে কি না, তা আজকালের মধ্যে জানা যাবে।
তবে এক বিজ্ঞপ্তিতে সামিট গ্রুপ জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক পরিদর্শকদের মূল্যায়ন অনুসারে জাহাজটি মেরামতের জন্য সিঙ্গাপুর বা মধ্যপ্রাচ্যের কোনো একটি ডকইয়ার্ডে নিতে হবে। রওনা করার জন্য এরই মধ্যে এটিকে প্রস্তুত করা হয়েছে। মেরামত শেষে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে এটি দেশে ফিরে আসবে বলে আশা করছে সামিট।
সামিট বলছে, রেমালের সময় কয়েকশ টন ওজনের একটি ইস্পাত কাঠামো সামিট এলএনজি টার্মিনালকে আঘাত করে। এতে জাহাজটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে ঝড়ের মধ্যেও সংশ্লিষ্ট সবার সহায়তা ও অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে বড় ধরনের ক্ষতি এড়ানো গেছে।