ক্রীড়া প্রতিবেদক: উইকেটরক্ষক হিসেবে মুশফিকুর রহিমের বিকল্প ভাবা হয় তাকে। কিন্তু একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়কের চেয়ে যোজন যোজন পেছনে ‘অপেক্ষমাণ’ নুরুল হাসান সোহান। যে কারণে স্কোয়াডে থাকলেও মূল একাদশে জায়গা হয়ে ওঠে না তার। যার সবশেষ উদাহরণ টাইগারদের আয়ারল্যান্ড সফর ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফি মিশন। তারপরও আফসোস নেই। খুলনার এ ক্রিকেটার রয়েছেন সুযোগের অপেক্ষায়। আপাতত সিনিয়রদের কাছ থেকে আরও শিখতে চান তিনি।
কয়েক দিন আগেই মিরপুরে শুরু হয়েছে টাইগারদের অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের প্রস্তুতি। যেখানে মাশরাফি বিন মুর্তজা-মুশফিকুর রহিমদের সঙ্গে রয়েছেন সোহানও। সবাই আপাতত ব্যস্ত ফিটনেস ক্যাম্প নিয়ে। কেমন কাটছে সিনিয়রদের সঙ্গে তার সময়। গতকাল এমন প্রশ্নের জবাবে খুলনার এ ক্রিকেটার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘জাতীয় দলের সঙ্গে থাকলে সবসময় অনেক কিছু শিখতে থাকি। ড্রেসিংরুম থেকে বা টিম ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে বা প্রাকটিসে বলেন প্রতিটা ক্ষেত্রেই আমার যে ঘাটতিগুলো রয়েছে, সেগুলো রিকভার করার জন্য অনেক কিছু শেখার আছে। সবকিছুই ওখান থেকে শিখতে চাই।’
গত কয়েকটি সিরিজে টাইগার স্কোয়াডে থাকলেও একাদশে জায়গা হয়ে ওঠে না সোহানের। এ নিয়ে কোনো আফসোস কাজ করে কী এ ডানহাতি ব্যাটসম্যানের। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় জিনিসটা হচ্ছে সুযোগ কোনো সময় আসে কেউ জানে না। আমি সবসময় চেষ্টা করি আমার যে ঘাটতি আছে সেগুলো রিকভার করে যাতে শতভাগ ফিট থাকি এবং সুযোগ এলে যাতে ভালো করতে পারি। এখন যেহেতু ফিটনেস ক্যাম্প চলছে। তার ফাঁকে ফাঁকে ব্যাটিং নিয়ে একটু কাজ করব। যে ঘাটতি আছে সেগুলো রিকভার করার চেষ্টা করবো। কিপিংয়ে কিছু ঘাটতি আছে সেগুলো নিয়েও চেষ্টা করবো যাতে ভবিষ্যতে আরও ভালো করতে পারি।’
ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত আলো ছড়ান সোহান। কিন্তু জাতীয় দলের জার্সিতে এখনও নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি তিনি। আসলে দুই ফরম্যাটের ক্রিকেটে কোনো পার্থক্য চোখে পড়েছে এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানের? ‘আসলে মানসিকভাবে চিন্তা করাটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় জিনিস। ঘরোয়া, আন্তর্জাতিক আপনি যদি খেলাটা ধরতে পারেন আমার মনে হয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলাটা অনেক সহজ। মানসিকভাবে যদি শক্ত থাকেন, মানসিকভাবে আপনার যদি ভালো কিছু করার চিন্তা-ভাবনা থাকে, তখন কঠিন যে সময়গুলো আছে এগুলো রিকভার করা যায়।’
সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে ফিটনেস ক্যাম্প দারুণ উপভোগ করছেন সোহান। আরও ২-৩ সপ্তাহ এমন আবহে থাকার সুযোগ পাবেন তিনি। এ সময়টায় বেশি বেশি শিখতে চান ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান। আর এটাকে পুঁজি করেই সামনের দিকে নিজেকে আরও এগিয়ে নিতে চেষ্টা করবেন খুলনার এ তরুণ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।