Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 7:13 pm

আরও সতেজ হয়ে ফিরতেই বিশ্রামে সাকিব

ক্রীড়া প্রতিবেদক: টানা ক্রিকেটে ক্লান্ত সাকিব আল হাসান। যে কারণে টেস্ট থেকে ছয় মাসের বিশ্রাম চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে ছুটি দিয়েছে শুধু দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ টেস্টে।  বাঁহাতি এ ক্রিকেটারের হঠাৎ বিশ্রাম নিয়ে দেশে ও বিদেশে হচ্ছে নানা আলোচনা। এরপরই টনক নড়ে তার। তাইতো গতকাল দুপুরে নিজ বাসায় খোলাসা করলেন কেন বিশ্রামে তিনি।

সাধারণত সংবাদ সম্মেলনে বেশি কথা বলেন না সাকিব। কিন্তু গতকাল যেন সংবাদ সম্মেলনে মেলে ধরলেন কথার ঝুড়ি। অস্বস্তিকর সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন হাসিমুখেই। বিশ্রামের সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যায় বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার বললেন, ‘আমার আরও অনেক দিন খেলার বাকি আছে। এ সময় যদি ভালো খেলতে চাই, তাহলে বিশ্রামটা জরুরি। চাইলেই খেলতে পারি। এখন আপনারা কী চান? পাঁচ-সাত বছর খেলি, নাকি দুবছর খেলি! যদি এভাবে খেলতে থাকি, এক-দুবছর পর ওভাবে খেলতে পারবো না। এভাবে খেলার চেয়ে না খেলাই ভালো। যতদিন খেলব যেন ভালোভাবে খেলতে পারিÑএটাই আমার লক্ষ্য। বিরতিটা যদি পাই, শারীরিকভাবে না যতটা, মানসিকভাবে আরও বেশি সতেজ হয়ে ফিরতে পারবো। তাতে হয়তো পরের পাঁচ বছর চিন্তামুক্ত হয়ে আমার খেলা সম্ভব হবে। যেটা মনে করি এক-দুই ম্যাচ বা এক-দুই মাসের চেয়ে এটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে টেস্টে না থাকলেও ঠিকই রঙিন পোশাকে দেখা যাবে সাকিবকে। মাত্র দুই টেস্টের বিরতি কি টাইগার এ অলরাউন্ডারের বিশ্রামের জন্য যথেষ্ট? এ নিয়ে বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক বলেন, ‘দুটি টেস্টের পরও যদি যাই, প্রায় এক মাসের একটি বিরতি হয়ে গেল কিন্তু। এরকম বিরতি আমি ৩-৪ বছরে পাইনি। আমার জন্য এটি অনেক বড় বিরতি বলে মনে করি। আমি বিসিবিকে ধন্যবাদ জানাই যে, তারা আমার ব্যাপারটি বুঝতে পেরেছে। যেভাবে আপনাদের মাত্র বললাম, আমি তাদের সেটি বুঝিয়ে বলার পর তারা বলেছেÑ‘ঠিক আছে, আইডিয়া ভালো আছে’। কারণ দিন শেষে আমার শরীর সম্পর্কে যে কারও চেয়ে আমিই ভালো বুঝতে পারবো। আমার এটা ম্যানেজ করার দরকার আছে। এ কারণেই এমন সিদ্ধান্ত।’

এর আগেও  চোট, নিষেধাজ্ঞা ও নানা কারণে মাঝেমধ্যে খেলতে পারেননি সাকিব। এবার নিজে থেকেই বিরতি নিলেন। ব্যাপারটিকে কীভাবে দেখছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার? ‘বিরতিটা নেওয়ার এটাই বড় কারণ। আমার যেন ওই অনুভূতি থাকে যে, আমি খেলব ও ভালো করবো। কিংবা খেলার প্রতি ভালোবাসা থাকলে বাড়তি কিছু করার আগ্রহ থাকে। ওই আগ্রহটা যেন পাই।’

দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে সাকিবকে বেশ ভালোমতোই মিস করবে বাংলাদেশ। কিন্তু বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার তেমনটা ভাবছেন না। তিনি বিশ্বাস করেন, তার সতীর্থরা অনেক ভালো কিছু করবে। ‘আমার থাকা-না থাকায় খুব বেশি প্রভাব পড়বে না। কারণ দুনিয়াতে কোনো জিনিসই কারও জন্য অপেক্ষা করে না। আমি আশা করি ও মন থেকে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ অনেক ভালো করবে দক্ষিণ আফ্রিকায়। ধারাটা অব্যাহত থাকবে। যে যাবে, সে ভালো করবে। দক্ষিণ আফ্রিকা সবার জন্য চ্যালেঞ্জিং। সবার ভেতর বাড়তি চেষ্টাও থাকবে ভালো করার।’

ছুটির সময়টা পরিবারের সঙ্গেই বেশি কাটাতে চান সাকিব। এর মধ্যেই আবার ব্যাট-বল হাতে নেমে পড়বেন অনুশীলনে। কেননা, মাসখানেক পরই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামতে হবে টাইগার এ অলরাউন্ডারকে।