আরও সময় চায় ৪ ভোজ্যতেল কোম্পানি

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের চার ভোজ্যতেল আমদানিকারক বাংলাদেশ প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের করা মামলায় শুনানিতে হাজির হয়ে আরও সময় চেয়েছে। দেশের আট ভোজ্যতেল কোম্পানির বিরুদ্ধে সেবা সীমিতকরণ বা নিয়ন্ত্রণের অভিযোগে মামলা করেছিল সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন। গতকাল এ মামলার শুনানিতে চার কোম্পানির প্রতিনিধিরা অংশ নেন। পৃথকভাবে চার তেল কোম্পানির সঙ্গে কমিশনের শুনানি হয়। এ শুনানিতে প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন মফিজুল ইসলামসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

নতুন ধার্য দিন অনুযায়ী, আগামী ২২ জুন শুনানির জবাব দিতে প্রতিযোগিতা কমিশনে আসবে বসুন্ধরা অয়েল রিফাইনারি মিল (বসুন্ধরা), মেঘনা গ্রæপের ইউনাইটেড এডিবল অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড (ফ্রেশ)। আর ২৭ জুন শুনানির জন্য সময় চেয়েছে সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড (তীর) ও বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড (রূপচাঁদা)।

সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেডের (তীর) পক্ষে আইনজীবী তফসিরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের পক্ষ থেকে আমাদের নোটিস দেয়া হয়েছিল। নোটিসে বলা হয়েছিল, কমিশনের আইনের ১৫ ধারা লঙ্ঘিত হয়েছে। কমিশনের করা অনুসন্ধানের ওপর ভিত্তি করে তারা আমাদের কমিশনে শুনানিতে আসতে বলেছিলেন। আমরা আজ হাজির হয়ে একটি দরখাস্ত দিয়েছি। কমিশন যে প্রতিবেদন করেছে, সেই প্রতিবেদন চেয়েছি আমরা। প্রতিবেদন পেলে জবাব দাখিল করব। শুনানি বোর্ড দরখাস্ত মঞ্জুর করে ২৭ জুন পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন। যেহেতু বিষয়টি বিচারাধীন, তাই এ বিষয়ে কিছু বলা ঠিক হবে না।

এদিকে, আজ প্রতিযোগিতা কমিশনের শুনানিতে অংশ নেবে মামলায় থাকা অন্য চারটি প্রতিষ্ঠান। এগুলো হলোÑশবনম ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (পুষ্টি), এস আলম সুপার এডিবল অয়েল কোম্পানি লিমিটেড (এস আলম), প্রাইম এডিবল অয়েল লিমিটেড (প্রাইম) ও গেøাব এডিবল অয়েল লিমিটেড (রয়্যাল শেফ)।

এর আগে ভোজ্যতেলের ব্যবসায়ে কারসাজি ঠেকাতে প্রতিযোগিতা কমিশনের গঠিত অনুসন্ধান দল বাংলাদেশ এডিবল ওয়েল লিমিটেডসহ কয়েকটি ভোজ্যতেল কোম্পানির গুদাম ও শোধনাগারে অনুসন্ধান চালিয়েছিল। এরপর আমদানিকারক ৮ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিযোগিতা কমিশন। সেবা সীমিতকরণ বা নিয়ন্ত্রণের অভিযোগে স্বপ্রণোদিত হয়ে এ মামলা করে সংস্থাটি।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০