শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনকে সামরিক ও মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাজ্য। পাশাপাশি রাশিয়ার অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে তুলতে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে যাচ্ছে দেশটি। এরই ধারাবাহিকতায় ইউক্রেনে আরও সামরিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। খবর: বিবিসি।
চলমান যুদ্ধে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনকে অতিরিক্ত ১৬০ কোটি মার্কিন ডলারের সামরিক সহায়তা দিতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ সরকার বলছে, ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধের ব্যয়ের পর কোনো সংঘর্ষে এটিই হবে তাদের সর্বোচ্চ ব্যয়।
এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানান, রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের নির্দেশে হামলায় শুধু ইউক্রেনেই বিপর্যয় ঘটছে না, পুরো ইউরোপের শান্তি ও নিরাপত্তা হুমকিতে ফেলেছে। তবে নতুন এ সহায়তা নিয়ে আর বিস্তারিত জানাননি তিনি। ব্রিটেন বলছে, ইউক্রেনে অতিরিক্ত সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় এই ব্যয় জরুরি অবস্থার মধ্যে ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত রিজার্ভ থেকে বহন করা হবে।
এর আগে গত সপ্তাহে ইউক্রেনের জন্য ৩৭৫ মিলিয়ন ডলারের নতুন একটি সামরিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণার মধ্যে এই খবর দিলেন বরিস জনসন। আগের প্যাকেজে ইলেকট্রনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও একটি কাউন্টার ব্যাটারি রাডার সিস্টেম রয়েছে। এখন পর্যন্ত ইউক্রেনে ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং অন্যান্য বহু অস্ত্র পাঠিয়েছে জনসন সরকার।
এদিকে নিষেধাজ্ঞা ও ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা নিয়ে যুক্তরাজ্যকে হুশিয়ারি দিয়েছে মস্কো। রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার জেরে মস্কোয় নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত ডেবোরা ব্রনার্টকে তলব করে সতর্ক করেছে রশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মস্কো জানায়, যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞার ফলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছে যাবে।
রুশ আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ইউক্রেনকে ৩৮০ কোটি মার্কিন ডলার সামরিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে ইউক্রেনকে সাতটি দূরপাল্লার হাউইটজার কামান সরবরাহ করবে জার্মানি। এর আগে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে ইউক্রেনকে এক হাজার ট্যাংকবিধ্বংসী অস্ত্র ও ৫০০ ক্ষেপণাস্ত্র দেয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ।
২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে। এর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো কিয়েভকে আধুনিক অস্ত্র সরবরাহ করে আসছে।
