Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 2:40 am

আরও হোক তথ্যপ্রযুক্তি মেলা

তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের মাধ্যমে ব্যবসার বিকাশ ঘটাচ্ছে অনেক দেশ। আমাদের দেশেও এর ব্যবহার বাড়ছে। এ খাত প্রসারের বিকল্প নেই। গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘এডাটা স্মার্টফোন ও ট্যাব এক্সপো-২০১৭’ উদ্বোধন করা হয়। মেলাটি চলবে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।

বর্তমানে তরুণদের অধিকাংশ কম্পিউটারের চেয়ে স্মার্টফোনের দিকে ঝুঁকছেন। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২০ সালের মধ্যে দেশে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা পাঁচ কোটি ছাড়াবে বলে মনে করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমপক্ষে দুই কোটি ৭৫ লাখ। এ ধরনের মোবাইল ফোনের ব্যবহার বাড়াতে ইতোমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে সরকার কাজ করছে। এমন উদ্যোগ এ খাতের অগ্রগতিকে আরও ত্বরান্বিত করবে। দেশের সাধারণ মানুষকে ডিজিটাল সুবিধার আওতায় আনার জন্য বাড়াতে হবে স্মার্টফোন ও ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা। শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে সরকার ইতোমধ্যে দেশের ৩৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করেছে। অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও এর প্রসার ঘটানো দরকার।

বর্তমানে স্মার্টফোনের যেসব দেশি ব্র্যান্ড রয়েছে, সেগুলোর উৎপাদন বাড়াতে কারখানা নির্মাণের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে মোবাইল যন্ত্রাংশ তৈরির ল্যাব প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম। স্মার্টফোন ও ট্যাবের দেশি ব্র্যান্ডগুলো মানসম্পন্ন ফোন উৎপাদন করতে পারলে তা দেশের বাজার ছাড়িয়ে বিদেশেও প্রতিযোগিতা করতে পারবে। এ ধরনের পণ্য রফতানিতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের আরও একটি খাত যুক্ত হবে। দেশি এ খাতকে বিকশিত করতে পারলে বাড়বে কর্মসংস্থান। অভিযোগ রয়েছে, দেশের ব্র্যান্ডগুলো মানসম্পন্ন ফোন তৈরি করতে না পারায় বিদেশি ব্র্যান্ডের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।

অনলাইনে ব্যবসার জন্য প্রযুক্তি প্রসারের বিকল্প নেই। এর উৎকর্ষের সঙ্গে প্রসার হবে ব্যবসার। দেশের ব্যাংকিং খাতে এ ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে বেশ। করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো এ খাতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে এগিয়ে। সাধারণ মানুষের মাঝে প্রযুক্তিপণ্য সহজলভ্য করতে হবে। সহনীয় মূল্যে এসব সরবরাহে নজর দিতে পারেন সংশ্লিষ্টরা। এসব প্রযুক্তির প্রসারে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে গ্রাহক ও উদ্যোক্তা পর্যায়ে। আর এ জন্য বেশি বেশি প্রযুক্তি মেলা আয়োজন করা যেতে পারে, যাতে গ্রাহক ও উদ্যোক্তারা আরও কাছাকাছি আসতে পারেন।