কমছে টিকাগ্রহীতা

আরও ২০ লাখ ডোজ টিকা আসছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: কয়েক দিনের মধ্যে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কভিড-১৯ প্রতিরোধী কোভিশিল্ডের চালান দেশে আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি এ কথা জানান। অন্যদিকে কমেছে করোনার টিকাগ্রহীতার সংখ্যা। বৃহস্পতিবার টিকা নিয়েছেন ৪২ হাজার ৩৬০ জন, আর বুধবার টিকাগ্রহীতার সংখ্যা ছিল ৫০ হাজার ৭৫২ জন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে টিকা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মা আমাকে এমনটিই জানিয়েছে। আর পরবর্তী চালানে ২০ লাখের মতো ডোজ আসতে পারে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমি বুধবার বেক্সিমকোর সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাকে জানিয়েছে, দুই থেকে চার দিনের মধ্যে কিছু টিকা পেতে পারে। তারা (বেক্সিমকো) তো সেরামের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। আমাদের পক্ষ থেকে যা করার দরকার তা আমরা করছি।’

‘আমাদের কন্ট্রাক্ট করা ভ্যাকসিন এগুলো, টাকা-পয়সা পেইড করা ভ্যাকসিন; না দেয়াটা সঠিক নয়।’ যোগ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, গত ৫ নভেম্বর বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সই করে। চুক্তির আওতায় সেরাম ইনস্টিটিউট তিন কোটি ডোজ টিকা বাংলাদেশে রপ্তানি করবে বলে কথা রয়েছে। এর মধ্যে প্রতিমাসে ৫০ লাখ ডোজ করে টিকা পাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। এগুলো ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা।

এখন পর্যন্ত ভারত থেকে টিকা এসেছে মোট এক কেটি দুই লাখ ডোজ। এর মধ্যে ভারত সরকারের উপহার হিসেবে প্রথমে গত ২১ জানুয়ারি আসে ২০ লাখ ডোজ। সরকারের অর্থে কেনা টিকার প্রথম চালানে ২৫ জানুয়ারি আসে ৫০ লাখ ডোজ। সর্বশেষ ২৩ ফেব্রুয়ারি আসে ২০ লাখ ডোজ।

বুধবারের (৩১ মার্চ) তুলনায় বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) আরও কমেছে করোনার  টিকাগ্রহীতার সংখ্যা। বৃহস্পতিবার টিকা নিয়েছেন ৪২ হাজার ৩৬০ জন, আর বুধবার টিকাগ্রহীতার সংখ্যা ছিল ৫০ হাজার ৭৫২ জন। করোনা টিকার বিষয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যমতে, গত ৩০ মার্চ টিকা নিয়েছেন ৫৬ হাজার ৪৩১ জন, ২৯ মার্চ নিয়েছেন ৫৬ হাজার ৪৩১ জন, ২৮ মার্চ ৫৮ হাজার ৪২৪ জন ও ২৭ মার্চ ৬৫ হাজার ৩৬৮ জন। শুক্রবার (২৬ মার্চ) সরকারি ছুটির দিন থাকায় টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ ছিল। তার আগের দিন বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) ৭০ হাজার ৪০৭ জন ও বুধবার (২৪ মার্চ) ৭৮ হাজার ৮১৭ জন টিকা নেন।

বৃহস্পতিবার টিকা নেয়া ৪২ হাজার ৩৬০ জনের মধ্যে পুরুষ ২৪ হাজার ২৯৬ জন, আর নারী ১৮ হাজার ৬৪ জন।

প্রসঙ্গত, গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া করোনাভাইরাস প্রতিরোধী জাতীয় টিকাদান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত মোট টিকা নিয়েছেন ৫৪ লাখ ১২ হাজার ৭৯১ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৩ লাখ ৬৩ হাজার ৫৯৪ জন, আর নারী ২০ লাখ ৪৯ হাজার ১৯৭ জন। তাদের মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে ৯৩৬ জনের।

মোট টিকা নেয়া ৫৪ লাখ ১২ হাজার ৭৯১ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ১৬ লাখ ৭২ হাজার ৭৪৯ জন, ময়মনসিংহ বিভাগের দুই লাখ ৬৩ হাজার ৭০৭ জন ও চট্টগ্রাম বিভাগের ১০ লাখ ৮৯ হাজার ৬৮৫ জন। রাজশাহী বিভাগের ছয় লাখ ১৮ হাজার ২৫৪ জন, রংপুর বিভাগের পাঁচ লাখ ৫৪ হাজার ৩৪৫ জন ও খুলনা বিভাগের ছয় লাখ ৯৭ হাজার ৫১৭ জন টিকা নিয়েছেন। বরিশাল বিভাগের দুই লাখ ৩৬ হাজার ২৬৬ জন, আর সিলেট বিভাগের  দুই লাখ ৮০ হাজার ২৬৮ জন টিকা নিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সারা দেশে টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৬৮ লাখ ৩৮ হাজার ৮১৫ জন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০