আরও ৯ লাখ টন চাল আমদানি হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক বাজার থেকে নয় লাখ টন চাল আমদানির দুটি প্রস্তাবে সায় দিয়েছে সরকার। গত বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ দুই প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল বারিক।

দেশের চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়ে পড়লে এবং অতিবৃষ্টি ও বন্যাতে ফসলের ক্ষতি হলে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের মাধ্যমেও চাল আমদানির অনুমোদন দেয় সরকার। এজন্য শুল্কও কমানো হয়েছে।

বৈঠক শেষে তিনি জানান, সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে রপ্তানিকারক দেশ থেকে চার লাখ টন চাল কেনার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে খাদ্য অধিদপ্তরকে।

একই অধিদপ্তরের আরেক প্রস্তাবে জরুতি ভিত্তিতে পাঁচ লাখ টন চাল আন্তর্জাতিক উম্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে আমদানির জন্য দরপত্র দাখিলের সময়সীমা পত্রিকা বিজ্ঞাপন প্রকাশের তারিখ থেকে ৪২ দিনের পরিবর্তে ১৫ দিন করার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এগুলো চাল কেনার পৃথক দুটি প্রস্তাব। ফলে এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে নয় লাখ টন চাল কেনার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

এদিকে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ভারতের বাগাদিয়া ব্রাদার্সের কাছ থেকে ৫০ হাজার টন নন বাসমতি চাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এতে মোট খরচ হবে ২০৮ কোটি ৫৭ লাখ ৭২ হাজার ৫০০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কেজি চালের দাম দাঁড়াচ্ছে ৪১ টাকা ৭১ পয়সা।

বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সার কেনার দুটি প্রস্তাবও অনুমোদন দেয়া হয়। এতে কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন থেকে ৩৮৬ কোটি ১৯ লাখ ৭৬ হাজার ৫৫০ টাকায় কেনা হবে ৫০ হাজার টন মিউরেট অব পটাশ বা এমওপি সার। প্রতি কেজি এমওপি সারের দাম দাঁড়াচ্ছে ৭৭ টাকা ২৩ পয়সা।

অপরদিকে মরক্কোর ওসিপি থেকে ২৯৬ কোটি ৯৩ লাখ ৬২ হাজার টাকায় ৪০ হাজার টন ডিএপি সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। এতে প্রতি কেজির দাম পড়ছে ৭৪ টাকা ২৩ পয়সা।

এদিনের বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ৮টি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ২টি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ২টি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ১টি, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ১টি, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ১টি এবং সেতু বিভাগের ১টি প্রস্তাব ছিল। এগুলোর মধ্যে পাস হয়েছে ১৫টি।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০