শেয়ার বিজ ডেস্ক: ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘাত থামানোর আহ্বান জানিয়ে আরব-ইসলামিক সম্মেলন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব। মধ্যপ্রাচ্যের আরব অঞ্চল ও বিশ্বের সব মুসলিম দেশকে এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হবে। খবর: রয়টার্স।
সৌদি আরবের বিনিয়োগমন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সিঙ্গাপুরে ব্লুমবার্গ নিউ ইকোনমি ফোরামের সম্মেলনে তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে আরব-ইসলামিক সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছি। আরব অঞ্চল ও ইসলামি বিশ্বের সব দেশকে সেই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
তিনি আরও বলেন, সৌদি আরব ও ইসলামি বিশ্বের সব দেশ আমরা সবাই গাজা উপত্যকায় চলমান সংঘাতের একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই। কীভাবে সেই সমাধান আসতে পারে, সে-সংক্রান্ত আলোচনাই হবে সেই সম্মেলনের মূল এজেন্ডা। আমরা আশা করছি, যে উদ্দেশে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে, তা সফল হবে।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালানোর পর সেদিন থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। সেই অভিযান এখনও চলছে।
আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, ১৯৫৩ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার সংঘাত হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের আল-আকসা অঞ্চলে। বিমান বাহিনীর হামলায় গত এক মাসে গাজা উপত্যকায় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন অন্তত ১৫ লাখ মানুষ। তাদের মধ্যে প্রায় ছয় লাখ ৭০ হাজার মানুষ আনরোয়া পরিচালিত স্কুলগুলোয় আশ্রয় নিয়েছেন।
ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল করার আগ পর্যন্ত এ যুদ্ধ তারা থামাবে না। যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা ইসরায়েলের এই অবস্থানকে সমর্থন করেছে। সেই সঙ্গে গাজার বেসামরিক মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়া ও ত্রাণ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে সেখানে ‘মানবিক বিরতি’ ঘোষণার ডাক দিয়েছে।
অন্যদিকে রাশিয়া, চীন, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চল এবং জাতিসংঘ যুদ্ধের এক সপ্তাহ পর থেকেই শুরু থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতির সোচ্চার আহ্বান জানিয়ে আসছে।
ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর অভিযানে গাজায় নিহত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১০ হাজার। এই নিহত মানুষের মধ্যে অর্ধেকের বেশি শিশু ও নারী।