নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আরামিট সিমেন্ট লিমিটেড ও আরামিট লিমিটেড। আর এ প্রান্তিকে আরামিটের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ৪৭ পয়সা। অন্যদিকে আরামিট সিমেন্টের ইপিএস কমেছে তিন টাকা ২৪ পয়সা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আরামিট সিমেন্ট: কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২১) ইপিএস হয়েছে দুই টাকা ১৫ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল এক টাকা ৯ পয়সা। অর্থাৎ, ইপিএস কমেছে তিন টাকা ২৪ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিক বা ছয় মাস (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২১) শেষে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে চার টাকা ১১ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২৩ পয়সা। এছাড়া ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা শূন্য পাঁচ পয়সা, যা ২০২১ সালের ৩০ জুনে ছিল ২৯ টাকা ১৩ পয়সা। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ১৫ পয়সা (ঘাটতি), যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৩ টাকা ৬৮ পয়সা।
কোম্পানিটি ১৯৯৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট তিন কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার শেয়ার রয়েছে।
আরামিট লিমিটেড: কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২১) ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৯৮ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল এক টাকা ৫১ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে ৪৭ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিক বা ছয় মাস (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২১) শেষে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে তিন টাকা ১২ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল দুই টাকা ১৮ পয়সা। এছাড়া ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৭২ টাকা ৯৩ পয়সা, যা ২০২১ সালের ৩০ জুনে ছিল ১৮১ টাকা ৪২ পয়সা। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে আট টাকা ৯২ পয়সা (ঘাটতি), যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল পাঁচ টাকা ৯৫ পয়সা।
কোম্পানিটি ১৯৮৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ১০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ছয় কোটি টাকা। কোম্পানির মোট ৬০ লাখ শেয়ার রয়েছে।