Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 2:57 am

আরিচা-কাজীরহাট রুটে তামাক বন্ধে উদ্যোগ নেয়া হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরাসরি বাধা দিয়ে নয়; বরং ধূমপায়ীদের জন্য অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করে ধূমপান নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এ লক্ষ্য অর্জনে পাবলিক প্লেস ও নৌযানে ধূমপানের বিক্রি ও সরবরাহ বন্ধ করতে হবে এবং ধূমপান বন্ধে প্রত্যেকের সহযোগিতামূলক মনোভাব পোষণ করতে হবে।

ডেভলপমেন্ট অ্যাকটিভিটিস অব সোসাইটি (ডাস) এবং বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটে (বাটা) যৌথ উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষÑবিআইডব্লিউটিএ’র সহযোগিতায় আরিচা ঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ‘নৌ-পরিবহনকে ধূমপানমুক্ত করার লক্ষ্যে লঞ্চ ও ফেরিতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের গুরুত্ব ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।

ডাসের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মোয়াজ্জেম হোসেন টিপুর সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিআইডাব্লিউটিএর উপপরিচালক ও আরিচা নদীবন্দরের মুখ্য কর্মকর্তা এসএম সাজ্জাদুর রহমান। সভায় আয়োজক সংগঠনের পক্ষে স্বাগত বক্তব্য দেন ডাস্রে তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির পলিসি অ্যানালিস্ট আসরার হাবীব নিপু। উপস্থিত ছিলেন লঞ্চ মালিক মো. মাসুদুর রহমান, লঞ্চ মালিক সমিতির মো. জুয়েল রানা, স্পিডবোড নেতা এসএম রুস্তম আলী, ঘাট পরিচালক মো. লিটন মিয়া, টার্মিনাল ইনচার্জ মো. আফসার উদ্দিন, লঞ্চ মালিক মো. আব্দুল হাই, বিআইডব্লিউটিএ’র মো. আনোয়ারুল হক, ঘাট ইজারাদারের পক্ষে মো. আশরাফ প্রমুখ।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, সচেতনতার জন্য পরিবারের ভেতর থেকে সর্বপ্রথম উদ্যোগী হতে হবে, যুব সমাজের জন্য তামাকমুক্ত সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারলে সমাজের সব পরিবেশ থেকে ধূমপানের উচ্ছেদ সম্ভব। তিনি বলেন নৌ-পরিবহনে তামাক নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট শক্তিশালী আইন থাকা সত্ত্বেও আমরা আইন মানি না। আইনের প্রতি সবারই শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। নৌ-পরিবহনের সব কর্মকর্তা ও অন্য সদস্যদের যার যার অবস্থান থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের বিষয়ে অধিক মনোযোগী হওয়ার আহবান করেন। পাবলিক প্লেস হিসেবে পরিচিত এই লঞ্চ টার্মিনালকে তিনি ধূমপানমুক্ত করার ব্যাপারে আশ্বাস প্রদান করেন, যা অবিলম্বে এই ঘাটের সব শ্রেণির লোকের সমন্বয়ে বাস্তবায়িত হবে। এছাড়া লঞ্চের অভ্যন্তরে ক্যান্টিন বা অন্য যেকোনো স্থানে সিগারেট বিক্রি বন্ধেও দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান।