শেয়ার বিজ ডেস্ক: আর্জেন্টিনায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ সব ধরনের জিনিসপত্র সাধারণ নাগরিকের নাগালের বাইরে চলে গেছে। সদ্যবিদায়ী জানুয়ারি মাসে দেশটির মূল্যস্ফীতি বার্ষিক ভিত্তিতে প্রায় ১০০ শতাংশ বেড়েছে। জানুয়ারিতে মাসিক ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ৬ শতাংশ। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার দেশটির বাণিজ্য বিভাগ এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রয়োজনীয় জিনিসপ্রত্রের দাম আকাশচুম্বি হয়ে উঠেছে। সরকারের প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, জানুয়ারিতে দেশটির মূল্যস্ফীতি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯৮.৮ শতাংশ বেড়েছে। বিদায়ী বছরে দেশটির মূল্যস্ফীতি ছিল ৯৫ শতাংশ। খবর: আল জাজিরা।
সরকারি ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মূল্যস্ফীতি বাড়ায় বিশ্বের দ্রুততম ক্রমবর্ধমান দামের দেশটিতে ক্রেতারা আরও বেদনাদায়ক পরিস্থিতি অনুভব করছেন। একই সঙ্গে বেতনের বাইরে অতিরিক্ত খরচ বাড়ায় শ্রমিকদের বাজেটে চাপ বাড়ছে।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি গত কয়েক বছর ধরে ঊর্ধ্বমূখী মূল্যের সঙ্গে লড়াই করে আসছে। জানুয়ারিতে মাসিক মূল্যস্ফীতি ছয় শতাংশ বেড়েছে। আর বার্ষিক হারে এই হার ৯৮.৮ শতাংশে পৌঁছেছে। যা ১৯৯০ এর দশক থেকে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি।
বুয়েন্স আয়াস শহরের পেশায় ৩০ বছর বয়সী একজন ডাক্তার গিসোলা সলুজ্জু বলেন, ‘দব্যমূল্যর দাম এতটা নাগালের বাইরে যে, সত্য হলো আমি প্রতিদিন বেঁচে থাকি, আমি বাজারে গিয়ে প্রতিদিন দাম কমের সন্ধান করি। তিনি বলেন, আমি কোথায় মাংস সস্তা, কোথায় সবজি সস্তা কিংবা অনলাইন প্রচারের সন্ধান করি।’ ব্যাপক মূল্যস্ফীতি দেশটির অর্থনীতিতে চরম আঘাত করেছে। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত সুদহার বাড়াতে বাধ্য হয়েছে।
এদিকে ব্যাপক মূল্যস্ফীতির কারণ আগামী অক্টোবরে সাধারণ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজের জনপ্রিয়তা অনেক কমেছে। বিশ্লেষকরা সকারের কৌশলগত ভুল রয়েছে বলে মনে করছেন। ৩৩ বছর বয়সী ব্যবসায়ী ব্রায়ান বলেন, মূল্যস্ফীতি এবং করের মধ্যে তার ব্যবসা টিকে থাকার লড়াই করছে।