আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন পেল নগদ

নিজস্ব প্রতিবেদক:‘নগদ ফাইন্যান্স পিএলসি’ নামেও আরও একটি নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় নতুন এ আর্থিক প্রতিষ্ঠান নামে সম্মতিপত্র (এলওআই) দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। কিছু প্রক্রিয়া শেষ হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে এলওআই ইস্যু করা হবে। পরে এ প্রতিষ্ঠানের আওতায় ‘নগদ’ এমএফএস সেবা পরিচালিত হবে বলে জানা গেছে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, নগদ ফাইন্যান্স পিএলসি নামে একটি ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আবেদন এসেছিল। শর্ত সাপেক্ষে প্রতিষ্ঠানটিকে এলওআই দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক যেসব শর্ত দেবে তার অন্যতম হলোÑপ্রতিষ্ঠানটির পরিশোধিত মূলধন হবে ১০০ কোটি টাকা। আগামী ৬ মাসের মধ্যে এ অর্থ জমা দিতে হবে। যে অর্থ জমা দেয়া হবে তা কর পরিশোধিত হতে হবে। উদ্যোক্তা ও পরিচালক হিসেবে যারা থাকবেন কেউ ঋণ বা বিল খেলাপি হতে পারবেন না। আদালত থেকে দণ্ডিত ব্যক্তির নামে শেয়ার থাকবে না। সুনির্দিষ্ট ব্যবসায়িক পরিকল্পনার আলোকে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে হবে। এ জন্য একটি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা দিতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস পরিচালিত হয়ে আসছিল ব্যাংক ‘লেড মডেল’ তথা একটি এমএফএস প্রতিষ্ঠানের অনন্ত ৫১ শতাংশ মালিকানা ব্যাংকের থাকতে হবে। তবে সেই নীতিমালায় পরিবর্তন করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে এমএফএস সেবা পরিচালনার সুযোগ দেয়া হয়। ডাক বিভাগের নাম ব্যবহার করে পরিচালিত নগদকে বৈধতা দিতেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এমন উদ্যোগ বলে তখন আলোচনা ছিল।

নগদ ছাড়াও দেশের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) সেবা প্রতিষ্ঠান রয়েছে আরও ১৩ প্রতিষ্ঠান।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুন মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকদের লেনদেন হয়েছে ৯৪ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৫ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা বেশি বা ২০ শতাংশ। গত বছর (২০২১) জুনে লেনদেন হয়েছে ৭৮ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা। চলতি বছরের জুন শেষে এ খাতে নিবন্ধিত গ্রাহকসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৭ কোটি ৮৬ লাখ ৩৯ হাজার ৬৪২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১০ কোটি ৩৫ লাখ ৪৮ হাজার ৭৫৭ এবং মহিলা গ্রাহক সাত কোটি ৪৬ লাখ ৯৬ হাজার ৩৩৪ জন। আলোচিত সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ১৫ হাজার ৬৬৫।

২০১৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষামূলক প্রকল্প হিসেবে নগদের যাত্রা শুরু হয়। একই বছরের ২৬ মার্চ এ সেবার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুরুর এক বছরের মধ্যে নগদ বাজারের বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ পায়। প্রচলিত সীমার চেয়ে বেশি লেনদেনসীমা, খরচ কম ও সহজে হিসাব খোলার সুযোগ দেয়ায় গ্রাহকেরা নগদের প্রতি আকৃষ্ট হন। লেনদেনে এটি এখন দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ এমএফএস প্রতিষ্ঠান। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লাইসেন্স না পাওয়ায় ব্যাংকগুলোর বিভিন্ন সেবার সঙ্গে যুক্ত হতে পারছিল না নগদ।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০