নিজস্ব প্রতিবেদক: কভিডের প্রকোপসহ বিভিন্ন কারণে ক্ষতিগ্রস্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি গ্রাহকদের এককালীন এক্সিট সুবিধা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্ষেত্রে এককালীন দুই শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে আবেদন করতে হবে। পুরো দায় পরিশোধে এক বছর সময় পাবেন তারা। কিন্তু পুরো দায় পরিশোধ না করা পর্যন্ত তাদের খেলাপি হিসেবেই থাকতে হবে। পুরো দায় পরিশোধে সুদ মওকুফ সুবিধাও দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
নতুন নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, দেশের অর্থনীতিতে কভিড-১৯-এর চলমান নেতিবাচক প্রভাব এবং বিবিধ নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কারণে ঋণগ্রহীতারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেক ঋণ যথাসময়ে আদায় হচ্ছে না। ফলে তা বিরূপ মানে বা খেলাপি হয়ে পড়ছে। এতে ঋণের স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিদ্যমান প্রেক্ষাপটে, তারল্য পরিস্থিতি উন্নয়ন ও আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে মন্দ বা ক্ষতি মানে থাকা ঋণের দুই শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে এককালীন এক্সিট নিতে পারবেন।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণ সমন্বয়ের জন্য এক্সিট সুবিধা মঞ্জুরির সময় থেকে সর্বোচ্চ এক বছর সময় দেয়া যাবে। পাশাপাশি উক্ত মেয়াদের মধ্যে এককালীন বা মাসিক বা ত্রৈমাসিক কিস্তিতে অর্থ আদায় করা যাবে। এক্সিট সুবিধা মঞ্জুরির পর থেকে ঋণ সমন্বয় পর্যন্ত আদায়যোগ্য অর্থের ওপর কস্ট অব ফান্ড হারে সুদ আরোপ করা যাবে। তবে উক্ত সুদ আদায় না করে আয় খাতে স্থানান্তর করা যাবে না। ঋণের অর্থ পরিশোধ না করা পর্যন্ত হিসাবটি আগের মান অর্থাৎ খেলাপি হিসেবেই থাকবেন।
সুবিধা প্রদানকালে আর্থিক প্রতিষ্ঠান-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনক্রমে ঋণের আরোপিত সুদ সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ, অনারোপিত সুদ, দণ্ড সুদ বা অন্য কোনো চার্জ মওকুফ করা যাবে। তবে কোনোক্রমেই ঋণের আসল অর্থ মওকুফ করা যাবে না। এক্ষেত্রে মওকুফকৃত সুদ একটি পৃথক সুদবিহীন ব্লকড হিসেবে স্থানান্তর করতে হবে। এ নীতিমালার শর্তানুযায়ী, ঋণের সমুদয় অর্থ আদায়ের পর
ব্লকড হিসেবে রক্ষিত অর্থ মওকুফ হিসেবে গণ্য হবে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য সুদ মওকুফের ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং অনুবিভাগের নির্দেশনা মানতে হবে। নিয়ম পরিপালন করেই ব্যবস্থা নিতে হবে বলে উল্লেখ করা হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায়।