নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যাংকের পর এবার নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিতরণ করা ঋণ বা লিজের অর্থ বা কিস্তি আদায়ে ছাড় দেয়া হয়েছে। চলতি বছরের শেষ প্রান্তিকের (অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর) ঋণের কিস্তির ৫০ শতাংশ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিশোধ করলে গ্রাহককে খেলাপি করা যাবে না। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নানা নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কারণে ক্ষুদ্র, বৃহৎ, মাঝারি ঋণগ্রহীতা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল রাখা এবং ঋণগ্রহীতাদের ঋণের কিস্তি পরিশোধ সহজ করতে মেয়াদি ঋণের বিপরীতে ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর সময়কাল পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তিগুলোর ন্যূনতম ৫০ শতাংশ চলতি ডিসেম্বরের শেষ কর্মদিবসের মধ্যে পরিশোধ করা হলে ওই ঋণগুলো বিরূপ মানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না।
এতে আরও বলা হয়, ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তি বা কিস্তিগুলোর অপরিশোধিত অংশ বিদ্যমান ঋণের পূর্বনির্ধারিত মেয়াদ শেষ হওয়ার
পরবর্তী এক বছরের মধ্যে সমকিস্তিতে (মাসিক ও ত্রৈমাসিক) প্রদেয় হবে। তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে অবশিষ্ট মেয়াদকালের সঙ্গে বর্ধিত এক বছর সময়কে বিবেচনায় নিয়ে কিস্তি পুনর্নির্ধারণপূর্বক নতুন সূচি অনুযায়ী আদায় করা যাবে। এছাড়া ইসলামী শরিয়াহ্ভিত্তিক মেয়াদি বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও এ নীতিমালা প্রযোজ্য হবে। নির্দেশনা মোতাবেক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে ঋণগুলো যথানিয়মে শ্রেণিকরণের আওতাভুক্ত হবে।
প্রজ্ঞাপনে আর বলা হয়, আলোচ্য সময়ের মধ্যে ওই সুবিধা পাওয়া কোনো ঋণের বিপরীতে দণ্ড সুদ বা অতিরিক্ত চার্জ আরোপ করা যাবে না।