নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ৮ শতাংশ সুদে আমানত সংগ্রহের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এমনকি মৌখিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এরকম সিদ্ধান্ত দেয়নি। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জিএম আবুল কালাম আজাদ শেয়ার বিজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জিএম আবুল কালাম আজাদ বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য আমানত সংগ্রহ ও ঋণ বিতরণের যে ক্যাপ দেয়া হয়েছে তা এখনও বহাল রয়েছে। এ ব্যাপারে মৌখিকভাবে যে সিদ্ধান্তের কথা বলা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। যারা নির্দেশনা না মেনে আমানত সংগ্রহ করবে তাদের বিরুদ্ধে নীতি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি বছরে দেশের ব্যাংকগুলোর মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় আমানত ও ঋণের সুদহার বেঁধে দেয়। এ ক্ষেত্রে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানতের সুদে ৭ শতাংশ ও ঋণে ১১ শতাংশ ক্যাপ নির্ধারণ করে দেয়। এরপর থেকেই এই নির্ধারিত ক্যাপের মধ্য থেকে ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করা অত্যন্ত কঠিন বলে দাবি করছিল আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। আমানতের সুদের ক্যাপ তুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছিল আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বিএলএফসিএ। এই সংগঠনের চেয়ারম্যান আইপিডিসি ফিন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে দেখা করে সুদের ক্যাপ উঠিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। তারা বলেন, ক্যাপ উঠিয়ে না দিলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করা দুরূহ হয়ে যাবে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক ক্যাপ তুলে দেয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। ৮ শতাংশ সুদে আমানত সংগ্রহ করতে পারবেÑএমন নিউজ ভিত্তি দাবি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা শেয়ার বিজকে বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানত সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক যে নির্দেশনা দিয়েছে তা পরিবর্তন করা হয়নি এবং মৌখিকভাবে এ ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। তবে যেসব প্রতিষ্ঠান ক্যাপ বেঁধে দেয়া আগে ৭ শতাংশের ওপরে আমানত সংগ্রহ করত, তাদের ক্ষেত্রে একটু নমনীয়তা দেখাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের আগস্ট মাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশ আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ম ভেঙে বেশি সুদে আমানত সংগ্রহ করছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে না।