Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 4:03 am

আর্দ্রতা বেড়ে কমেছে তাপমাত্রা ঘাম আর অস্বস্তি বাড়বে

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর আকাশে অবশেষে মেঘ আসতে শুরু করেছে। ভারত থেকে সিলেট, ময়মনসিংহ ও রংপুর দিয়ে ওই মেঘ বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। গত রোববার থেকে ওই মেঘ আসা শুরু হয়ে তা ভেসে ভেসে ঢাকা পর্যন্ত চলে এসেছে। মেঘের কারণে রোদের কিরণ রাজধানীর বুকে আসতে বাধা পাচ্ছে। এজন্য গত ১০ দিন পর রাজধানীর তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে।

গতকাল সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকার তাপমাত্রা গত রোববারের তুলনায় এক লাফে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে। গতকাল দুপুর ১২টায় রাজধানীর তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা রোববার একই সময়ে ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বাকি সময়জুড়েও তাপমাত্রা রোববারের তুলনায় কম থাকার সম্ভাবনার কথা বলছেন আবহাওয়াবিদেরা। কারণ সকাল থেকে দ্রুত মেঘের পরিমাণ বাড়তে শুরু করেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা বলেন, ঢাকার তাপমাত্রা দ্রুত কমতে শুরু করেছে। তবে আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় গরমের অনুভূতি খুব একটা কমবে না। আকাশে মেঘ ও আর্দ্রতা বেড়ে গিয়ে ঘাম বেড়ে যেতে পারে। তাই বেশি সময় রোদের মধ্যে না থাকাসহ দাবদাহের সময় যেসব পরামর্শ মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে, তা মানতে হবে। আগামী দু-এক দিন তাপমাত্রা কমলেও দাবদাহ রয়ে যাবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে কোনো এলাকার তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছালে সেখানে দাবদাহ চলছে বলে ধরে নেয়া হয়। কোনো এলাকার তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রির নিচে হলে তা মৃদু দাবদাহ, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি হলে মাঝারি দাবদাহ ও ৪০ ডিগ্রির ওপরে উঠলে তা তীব্র দাবদাহ হিসেবে ধরে নেয়া হয়। সেই হিসাবে ঢাকায় এখন মৃদু দাবদাহ বইছে। তাপমাত্রা কমলেও দাবদাহ আজ ও কাল অব্যাহত থাকতে পারে।

সাধারণত বেলা ১টা থেকে ৩টার মধ্যে তাপমাত্রা সর্বোচ্চ পর্যায়ে ওঠে। তবে অনেক ক্ষেত্রে বেলা সাড়ে ৩টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার প্রবণতাও দেখা গেছে। সেই হিসাবে দিনের বাকি সময়ে ঢাকার তাপমাত্রা আরও খানিকটা বাড়তে পারে। তবে গত রোববারের মতো ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠার সম্ভাবনা কম বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।

তবে তাপমাত্রা কমলেও বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাপ অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। গতকাল দুপুর ১২টায় রাজধানীর বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাপ ছিল ৪৮ শতাংশ, যা রোববারের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। রোববার একই সময়ে আর্দ্রতার পরিমাপ ছিল ২৩ শতাংশ। ফলে তাপমাত্রা কমলেও গরমের অস্বস্তি খুব একটা কমেনি। বরং রাজধানীবাসীর মধ্যে ঘাম বেড়ে গিয়ে কষ্ট বেড়েছে।