আলমডাঙ্গায় বৃদ্ধ দম্পতি হত্যার ঘটনায় আটক ৪

প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা পৌর এলাকায় বৃদ্ধ দম্পতি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত চারজনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। আটকের পর তাদের কাছ থেকে হত্যার কাজে ব্যবহƒত সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। গতকাল সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন বলেন, আলমডাঙ্গা পৌর শহরের পুরাতন বাজারের নিজ বসতঘর থেকে গত ২৪ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় হাত-মুখ বাঁধা অবস্থায় ষাটোর্ধ্ব নজির উদ্দিন ও ফরিদা খাতুন দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নজির উদ্দিনকে শৌচাগারের ভেতরে হাত-মুখ বেঁধে শ্বাসরোধ ও গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এবং তার স্ত্রী ফরিদা খাতুনকে শোবার ঘরের মেঝেতে ফেলে গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মৃত্যু নিশ্চিত করে বাড়ির বাইরে থেকে দরজা তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

এ ঘটনার পর ওই দম্পতির মেয়ে ডালিয়া পারভীন শিলা বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের আটক করে তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা, রক্তমাখা জামাকাপড়, মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন ধরনের আলামত জব্দ করা হয়।

আটক আসামিরা হলেন আলমডাঙ্গা উপজেলার আসাননগর মাঝেরপাড়ার বজলুল রহমানের ছেলে শাহাবুল হক (২৪), একই এলাকার শেষপাড়ায় পিন্টু রহমানের ছেলে রাজীব হোসেন (২৫), মাঝেরপাড়ার মাসুদ আলীর ছেলে বিদ্যুৎ আলী (২৩) ও স্কুলপাড়ার তাজউদ্দিনের ছেলে শাকিল হোসেন (২১)।

মামলাটির তদন্তকালে জানা যায়, আসামি শাহাবুল আগে নজির উদ্দিন ট্রলিচালক ছিলেন। পূর্বপরিচিত হওয়ায় তিনি ঘটনার দিন ২৩ সেপ্টেম্বর নজির উদ্দিনের কাছে বালি কেনার প্রস্তাব দেন। পরবর্তীতে একই দিন রাত আনুমানিক ৮টার সময় আসামিরা পরস্পর  যোগসাজশ করে তার বাড়ির সামনে এসে ডাকতে থাকে। নজির উদ্দিন তার বাড়ির প্রধান ফটক খুলে দিলে তারা সেখানে প্রবেশ করে। এরপর তারা নগদ টাকা পাওয়ার আশায় তাদের অস্ত্রের ভয় দেখায়। তাতে কাজ না হলে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই দম্পতিকে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ড নিশ্চিত করে তারা বাড়ির বাইরে  থেকে তালাবদ্ধ করে চলে যায়। আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০