শেয়ার বিজ ডেস্ক: নামে পারিবারিক উপাধি ‘মা’ রয়েছে, চীনে এমন এক ব্যক্তিকে আটকের খবরে আলিবাবার শেয়ার ব্যাপক ধস নামে। এতে হংকং পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারে গত মঙ্গলবার (৩ মে) প্রায় ৯ দশমিক ৪ শতাংশ ধস দেখা যায়। এতে প্রতিষ্ঠানটি থেকে উধাও হয়ে গেছে ২ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। খবর: সিএনএন।
জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে চীনের হাংঝউ শহরে গত ২৫ এপ্রিল এক ব্যক্তিকে আটকের সংবাদ প্রকাশ করে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। ওই ব্যক্তির নামের বংশগত পদবি ‘মা’। ওই শহরে আলিবাবার সদর দপ্তর অবস্থিত। এই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলিবাবার সহপ্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ‘মা’।
‘মা’ নামের এই ব্যক্তির আটকে আলিবাবার সহপ্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা আটক হয়েছেন, এমন আশঙ্কা ও সন্দেহে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারে ধস নামে। সাম্প্রতিক সময়ে চীনের কমিউনিস্ট সরকারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে জ্যাক মা’র। তাই এমন খবরে সন্দেহ আরও ঘনীভ‚ত হয়। যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধ নিয়ে অসন্তোষ ছিল জ্যাক ‘মা’র। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল তার ব্যবসা। এ নিয়ে মুখ খুলে সরকারের তোপে পড়েন তিনি। আলিবাবার বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গের তদন্ত শুরু করে চীনা কর্তৃপক্ষ। একপর্যায়ে দুই মাসের বেশি সময় আড়ালে থাকার পর ২০২১ সালের জানুয়ারি প্রকাশ্যে আসেন জ্যাক মা।
সম্প্রতি চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভির তথ্য অনুযায়ী, ‘বিচ্ছিন্নতাবাদ’ ও ‘রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ধ্বংসে উসকানি’ দিতে বিদেশি চীনাবিরোধী শত্রæদের গোপনে সহায়তা করেছেন এমন সন্দেহে এক ব্যক্তিকে বাধ্যতামূলক ব্যবস্থার (আটক) আওতায় আনা হয়। এ খবরে হংকং শেয়ারবাজারে শেয়ার বিক্রি শুরু হলে আতঙ্কে কয়েক মিনিটের মধ্যে আলিবাবা প্রায় দুই হাজার ৬০০ কোটি ডলার হারায়।
চীনের রাষ্ট্রীয় ট্যাবলয়েড গ্লোবাল টাইমসের সাবেক এডিটর-ইন-চিফ হু চিজিন চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েইবোতে দ্রুত বিষয়টি স্পষ্ট করেন। তিনি লেখেন, প্রতিবেদনটি বিভ্রান্তিকর ছিল। কারণ যে সন্দেহভাজনের কথা বলা হচ্ছে, তার নামের তিনটি অংশ। জ্যাক মা’র নামের অংশ কেবল দুটি। চীনা ভাষায় তার নাম ‘মা ইউন’। পরে হুর বক্তব্যের সঙ্গে মিলিয়ে আগের প্রতিবেদনটি হালনাগাদ করে সিসিটিভি। বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ার পর আলিবাবার শেয়ার আবার ঘুরে দাঁড়ায়।