নিজস্ব প্রতিবেদক: শীতের মধ্যে এখন চলছে কিছুটা উষ্ণতার আঁচ। কিন্তু বাজার এখনও রঙিন শীতের সবজিতে। বাজারে সবজির দাম হাতের নাগালে থাকলেও অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে নিয়মিত বিরতিতে। এর মধ্যে তেলের দাম অন্যতম। চালের দামও বাড়তির দিকে। তবে নতুন আলুসহ পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম কমেছে।
গতকাল রাজধানীর বেশ কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে ১০ টাকা কমে নতুন আলু ৩০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, আমদানিকৃত পেঁয়াজ ২৫-৩০ টাকা, দেশি রসুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা ও চায়না রসুন ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ১০ থেকে ১৫ টাকা কমে দেশি আদা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা ও চায়না আদা ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি আকারভেদে ২৫ থেকে ৩০ ও ব্রকলি ৫০ টাকা, শিমের কেজি ৪০ থেকে ৫০, কাঁচা টমেটো ৪০, পাকা টমেটো ৫৫ থেকে ৬০, শালগম ৩০ থেকে ৪০, করলা ৮০, বেগুন ৫০, ঢেঁড়স ৭০, মুলা ১৮ থেকে ২০ এবং চিচিঙ্গা ও ঝিঙা ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পেঁপে ৩০, দেশি শসা ৫০, বরবটি ৮০, গাজর ৪০, লাউ প্রতিটি ৫০ ও মিষ্টিকুমড়া কেজিপ্রতি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
দেশের সবচেয়ে বড় কাঁচা পাইকারি বাজার কারওয়ান বাজারে মানভেদে প্রতি পাল্লা (পাঁচ কেজি) আলু ৮০ থেকে ১০০ টাকা, টমেটো ২০০, করলা ১২০ থেকে ১৩০, দেশি আদা ৬০০, ভারতীয় আদা ৩০০, পুরোনো পেঁয়াজ ২৬০ ও নতুন পেঁয়াজ ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি ডাল ১০০, ক্যাঙ্গারু ১২০, ভারতীয় মোটা মসুর ডাল ৬৫ থেকে ৭০, মুগডাল ১৪০ ও দেশি মসুর ১৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে চালের দাম বেড়েছে কিছুটা। খুচরা বাজারে মিনিকেট চাল ৬২ টাকা, নাজির শাইল ৬৫, আটাশ ৫০, পাইজাম ৪৮, হাসকি ৫০-৫২, মোটা চাল ৪০ ও খুদের চাল ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহের ব্যবধান চার থেকে পাঁচ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বাজারে খোলা সয়াবিন তেল লিটারপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকায়, সরিষার তেল ২০০ টাকায় ও নারিকেল তেল ৪১০ টাকায়। তেলের দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী মো. আলী বলেন, এখন সরিষা শেষের দিকে। তাই শেষ সময়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। কিছুদিন পর সরিষা ঘরে উঠলে দাম কমে আসবে।
গত সপ্তাহের মতোই বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, পাকিস্তানি মুরগি ২১০ টাকায় আর লেয়ার মুরগি ২০০ টাকায়। এসব বাজারে গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৫৫০ ও খাসির মাংস ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনে পাঁচ টাকা কমে ব্রয়লার মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ১৪০ টাকায় ও পাকিস্তানি মুরগির ডিম ১০০ টাকায়।
মাছের বাজার ছিল গত সপ্তাহের মতোই। কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি মাঝারি রুই ২২০ থেকে ২৫০ টাকায়, বড় রুই ৩৫০ থেকে ৩৮০, তেলাপিয়া ১০০ থেকে ১২০, বড় পাবদা ৩০০, চিংড়ি বড় ৫০০, ছোট চিংড়ি ৪৫০, শিং বড় ৪০০, শিং ছোট ২৫০, পাঙাশ ১৫০, কই বড় ১৮০, ছোট ১৬০, বড় পুঁটি ১৬০, টেংরা ৪০০, বড় সাইজের ইলিশ ৯০০, মাঝারি ৮০০ ও ছোট ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।