নিজস্ব প্রতিবেদক: দুই দফা ‘চটকদার অফার’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে প্রায় সাত হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে ৩০০ কোটিরও বেশি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেছেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মঞ্জরুল আলম শিকদার ও তার পরিবারের সদস্যদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার জন্যও দাবি জানিয়েছেন তারা। শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এর আয়োজন করে আলেশা মার্ট কাস্টমার অ্যাসোসিয়েশন, আলেশা মার্ট বিক্ষোভ ও আন্দোলনের গ্রুপ।
গ্রাহকদের পক্ষে সংগঠনটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত বছরের জুনে বাইকের ওপর ৩৫ শতাংশ ছাড় দিয়ে একটি ক্যাম্পেইন শুরু করে। ৪৫ দিনের মধ্যে বাইক প্রদানের প্রতিশ্রুতি ছিল তাতে। ওই ক্যাম্পেইনে এক মাসের মধ্যে ৪৬ হাজার বাইকের অর্ডার হয়।
এর দুই মাসের মাথায় ওই বছরের আগস্টে প্রতিষ্ঠানটি তাদের দ্বিতীয় ক্যাম্পেইন চালায় বলে উল্লেখ করে তারা আরও বলেন, ব্যাংক ডিপোজিট নামে বাইকের ওপর ৩৩ শতাংশ ছাড়ের কথা বলা হয়েছে ক্যাম্পেইনটিতে। দুটি ক্যাম্পেইনের প্রতিশ্রুত বাইক বা মূল টাকা ১৩ মাসেও গ্রাহকদের পরিশোধ করেনি আলেশা মার্ট কর্তৃপক্ষ।
আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ৪২ কোটি টাকা গেটওয়ের মাধ্যমে গ্রাহকদের পরিশোধ করা হয়। বাকি ২৫৮ কোটি টাকার চেকের মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে। বর্তমানে তাদের সব অফিস বন্ধ রয়েছে।
দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা আমাদের টাকা ফেরত চাই। অবিলম্বে আলেশা মার্টের চেয়ারম্যানসহ তার পরিবারের সদস্যদের বিদেশ গমন নিষিদ্ধ করতে হবে। অন্যথায় তারা পালিয়ে গেলে গ্রাহকদের সব দায়-দায়িত্ব বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্টদের নিতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ চেকগুলো রিপ্লেস করতে হবে। বন্ধ কল সেন্টার চালু করে গ্রাহকদের সেবার মান নিশ্চিত করতে হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্টদের একটা কমিটি
গঠন করে চাপ দিয়ে আলেশা মার্টের মনজুর আলম সিকদারকে গ্রাহকের টাকা পরিশোধ করতে বাধ্য করতে হবে। তাতে কাজ না হলে কমিটিকে আলেশা মার্টের চেয়ারম্যানের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে গ্রাহকদের দেনা পরিশোধ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এ ছাড়া আলেশা মার্ট কাস্টমার অ্যাসোসিয়েশন পাওনা টাকা আদায়-পরবর্তী সময়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুশিয়ারি দিয়েছে। এ সময় আলেশা মার্টের ভুক্তভোগী বেশ কিছু গ্রাহক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।