Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 8:34 pm

আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : শতাধিক মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি বিতর্কিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মনজুর আলম সিকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে রাজধানীর বনানী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রিফাত রহমান শামীম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আলেশা মার্টের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা আছে। মামলার বাদী পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

ডিসি বলেন, তার (মনজুর আলম) বিরুদ্ধে শতাধিক মামলার ওয়ারেন্ট রয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

সিআইডির তথ্য বলছে, ২০২০ সালের ২৬ জুলাই আলেশা মার্ট যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তর থেকে নিবন্ধন পায়। প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর ডিএনসিসি থেকে ট্রেড লাইসেন্স নেয়। আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি।

অপপ্রচারকারীদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:অপপ্রচার ও গুজবকে জবাবদিহির আওতায় নিয়ে আসতে একটি কাঠামো দাঁড় করানোর কথা জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন মাধ্যমে যারা অপপ্রচার চালায়, তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে।’

আওয়ামী লীগ সরকারের নতুন মন্ত্রিসভায় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর গতকাল রোববার সচিবালয়ে আসেন প্রতিমন্ত্রী আরাফাত। এরপর তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে অপপ্রচার হয় বা হচ্ছে। অনেক সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মূলধারার গণমাধ্যমের লোগো ব্যবহার করেও অপপ্রচার হয়, এটা আমরা সবাই জানি। সমস্যা যেটি হয়, এই অপপ্রচার রোধ করতে আমরা যেটি চিন্তা করিÑমত প্রকাশের স্বাধীনতা যেন বাধাগ্রস্ত না হয়, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যেন বাধাগ্রস্ত না হয়।

তিনি বলেন, যেহেতু নতুন একটা ফেনামেনা তৈরি হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিস্তৃতি ঘটে এই জায়গায় এসেছে। কাজেই নতুনভাবে আমাদের ভেবে কর্মকৌশল নিতে হবে। কীভাবে অপপ্রচার ও গুজবকে আমরা জবাদিহির আওতায় আনতে পারি, সেটির একটি কাঠামো দাঁড় করাতে পারি। কারণ দিন শেষে সবকিছু কিন্তু ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। যদি অপপ্রচার অবাধ ও স্বাধীনভাবে বিস্তৃতি লাভ করার সুযোগ পায়, তাহলে কিন্তু কোনোকিছুই দিন শেষে গণতন্ত্রের জন্য কার্যকর ভ‚মিকা রাখতে পারবে না, সেটা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বলি আর যা-ই বলি। সেখানে আমাদের একটি কর্মকৌশল নিতে হবে আলাদা করে।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অংশ। আমাদের পূর্ণাঙ্গ অঙ্গীকার আছে। গণতন্ত্রের স্বার্থে, দেশের অগ্রগতির স্বার্থে তথ্যের অবাধ প্রবাহ, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমরা নিশ্চিত করেছি এবং করতে চাই। একইসঙ্গে তথ্যের অবাধ প্রবাহ, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে অপব্যবহার করে কোনো গোষ্ঠী যদি অপপ্রচার বা মিথ্যাচার করে সেটি গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর। সাধারণ মানুষের জন্যও ক্ষতিকর। কারণ সাধারণ মানুষ কিন্তু এটা ডিজার্ভ করে না। তার জন্য এটা অবিচার হয়, আপনি যখন অসত্য বলে তাকে ধোঁকা দেন। এই অসত্য এবং অপপ্রচারকে কীভাবে জবাবদিহির আওতায় আনা যায়, সেই বিষয়গুলো যাতে সঠিক তথ্যের অবাধ প্রবাহ আরও সুন্দরভাবে তৈরি করা যায়, সে বিষয়গুলো নিয়ে আগামী দিনে কাজ করতে চাই।