শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিতে চায় উত্তর কোরিয়া। শীতকালীন অলিম্পিকের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া উত্তর কোরিয়ার
সেনাপ্রধান জেনারেল কিম ইয়ং চোল দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইনের সঙ্গে বৈঠকের পর এ আগ্রহের কথা জানান। তবে মার্কিন প্রশাসন বলছে, পারমাণবিক তৎপরতা বন্ধের অঙ্গীকার করলেই শুধু তারা আলোচনায় যেতে রাজি আছে। খবর আলজাজিরা।
দেশ দুটির মধ্যে বৈরী সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। গত শুক্রবারও উত্তর কোরিয়ার ওপর বড় আকারের নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ নিষেধাজ্ঞাকে ‘সর্বকালের বড়’ নিষেধাজ্ঞা বলে উল্লেখ করেছেন। নিজেদের পরমাণু কর্মসূচি এবং ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে উত্তর কোরিয়া। নতুন নিষেধাজ্ঞায় দেশটির ৫০টির বেশি জাহাজ এবং সামুদ্রিক পরিবহন কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আনা হচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা আনা হচ্ছে চীন এবং তাইওয়ানের ওপরও।
যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরপরই ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়ায় পিয়ংইয়ং জানিয়েছে, মার্কিন এ নিষেধাজ্ঞা যুদ্ধ ঘোষণার সামিল। অথচ পিয়ং ইয়ংয়েংর জেনারেলের তরফ থেকেই আলোচনার ইঙ্গিত পাওয়া গেল।
শীতকালীন অলিম্পিক গেমসের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় গেছেন ট্রাম্পকন্যা ইভানকা। সেখানে উত্তর কোরীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের কোনো সম্ভাবনা যুক্তরাষ্ট্র নাকচ করে দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি উত্তর কোরিয়া যে উষ্ণতা দেখাচ্ছে, তার উদ্দেশ্য হচ্ছে সিওল এবং ওয়াশিংটনের সম্পর্কে বিভ্রান্তি তৈরি করা।
গত রোববার এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উত্তর কোরিয়া যদি পারমাণবিক তৎপরতা বন্ধের অঙ্গীকার করে, তবেই তারা আলোচনায় যেতে রাজি আছে।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা দেখতে চাই পিয়ংইয়ংয়ের আজকের আলোচনার প্রস্তাবের বার্তায় পরমাণু কর্মসূচি বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু করতে প্রথম পদক্ষেপ নেয় কি না। শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয় পুরো বিশ্বই উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির সমাপ্তি দেখতে চায়।
মুন জে ইন বলেছেন, ওয়াশিংটন ও পিয়ংইয়ংকে শিগগিরই মৌলিক বিষয়গুলো সমাধানে আলোচনায় বসতে দেখা যাবে। উত্তর কোরিয়ার একটি সম্মেলনে মুনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে তিনি পিয়ংইয়ংয়ে সফর করবেন কি নাÑতা এখনও নিশ্চিত নয়।