আলো নিয়ে খেলা করে মুক্তোগুলো

ডা. সঞ্চিতা দাস রাখী: মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে গেলে সবার আগে অবচেতনভাবে সুন্দর দাঁত ও হাসি চোখে পড়ে। সেই হাসি যেন মনে আলো ছড়িয়ে দেয়। সুস্থ ও সুন্দর হাসি ব্যক্তিত্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হয়ে উঠবে যদি আপনি সাদা মুক্তোগুলোর যত্ন নেন।

আসুন দাঁত নিয়ে কিছু মজার বিষয় জেনে নেই

1.প্রতিটি মানুষের দাঁত ও দাঁতের ছাপ স্বতন্ত্র।

2.দেহের সবচেয়ে শক্ত অংশ দাঁত। তাই বলে বোতল কিংবা জারের ক্যাপ খুলতে অথবা শক্ত কিছু ভাঙতে কোনো অবস্থাতেই দাঁত ব্যবহার করা উচিত নয়।

3.দাঁত বলতে সাধারণভাবে যা দেখা যায়, তা দাঁতের মাত্র দুই তৃতীয়াংশ। বাকি এক তৃতীয়াংশ থাকে মাড়ির ভেতরে। একে ‘রুট’ বা ‘মূল’ বলা হয়।

4.দাঁতের গঠন প্রণালি শুরু হয় মাতৃগর্ভে থাকার সময়ে। সরাসরি দেখা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয় ৬ থেকে ১২ মাস পর্যন্ত।

5. মোট চার ধরনের দাঁত আছে। যেমন ইনসিসর ও ক্যানাইন সামনের দাঁত। এগুলো খাদ্যবস্তু কাটতে ও ছিঁড়তে সাহায্য করে। পেছনের দাঁত হিসেবে আছে প্রি-মোলারস ও মোলারস। খাবার পেষা ও চিবিয়ে খাওয়ার কাজ করে এসব দাঁত।

6.এক জীবনে মানুষের মাত্র দুই সেট দাঁত থাকে দুধ দাঁত ও স্থায়ী দাঁত। স্থায়ী দাঁতের সংখ্যা ৩২। দুধ দাঁত মাত্র ২০টি।

7.দাঁতের সঙ্গে নানা ধরনের অসুখের সম্পর্ক আছে। যেমন হৃদরোগ, ডায়াবেটিস প্রভৃতি। শিশুদের অন্যতম সাধারণ একটি রোগ দাঁতের ‘ক্ষয় রোগ’ বা ‘ক্যারিস’। মায়ের বুকের দুধ থেকেও এটা হতে পারে।

8.অনেক সময় আঘাত কিংবা দুর্ঘটনাজনিত কারণে মাড়ি থেকে আস্ত দাঁত বের হয়ে আসতে পারে। ভয় না পেয়ে, সঙ্গে সঙ্গে দাঁতটি দুধ কিংবা মুখের ভেতরে জিহ্বার নিচে সংরক্ষণ করুন। যত দ্রুত সম্ভব ডেন্টিস্টের কাছে চলে যান। দাঁতটিকে পুনরায় মাড়িতে প্রতিস্থাপন করে রক্ষা করা সম্ভব।

10. মনে রাখবেন, এ রকম ক্ষেত্রে মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিট পরে দাঁতটি মারা যেতে শুরু করে।

ওরাল ও ডেন্টাল সার্জন বিডিএস (ঢাকা)