নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (ক্রিসেল)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যমতে, কোম্পানিটি দীর্ঘমেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএ’ এবং স্বল্পমেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-২’। ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং দিয়েছে ক্রিসেল।
এদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২২) ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৯ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৬ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ২৩ পয়সা। ২০২২ সালের ৩১ মার্চ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ২২ পয়সা। এছাড়া প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২০ টাকা ১২ পয়সা।
৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সর্বশেষ ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৯৬ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৭৬ পয়সা। আর আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৯ টাকা ২১ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরেও ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছিল দুই টাকা ৪১ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে এনএভিপিএস ছিল ২২ টাকা ৩৫ পয়সা। আর তখন শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছিল ৯ টাকা ৪৪ পয়সা।
‘এ’ ক্যাটেগরির ব্যাংক খাতের এ কোম্পানিটি ১৯৯৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। প্রতিষ্ঠানটির দেড় হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৬৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৪৮০ কোটি টাকা। কোম্পানির মোট ১০৬ কোটি ৪৯ লাখ দুই হাজার ১৮৫ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৪১ দশমিক ৮৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৩০ দশমিক ৩৪ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ এবং বাকি ২৭ দশমিক ২৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।