আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ব্যাংক খাত

রুবাইয়াত রিক্তা: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল মোট লেনদেনের অর্ধেকের বেশি হয়েছে ব্যাংক খাতে। ডিএসইতে আগের কার্যদিবসের তুলনায় গতকাল মোট লেনদেন বেড়েছে ৩০১ কোটি টাকা। বিনিয়োগকারীরা অন্যান্য খাত থেকে শেয়ার বিক্রি করে ব্যাংক খাতে ঢুকছেন, যে কারণে ব্যাংক খাত ইতিবাচক হলেও বাকি খাতগুলোর লেনদেনে ধস নামে। ব্যাংক খাতের মাত্র ৩০টি কোম্পানিতে যে লেনদেন হয়েছে, বাকি খাতগুলোর ২৯৮টি কোম্পানি মিলেও সমপর্যায়ে যেতে পারেনি। বিনিয়োগকারীরা দিগি¦দিক হারিয়ে ছুটছে ব্যাংক খাতের পেছনে। বাজার এই গতিতে চলতে থাকলে অচিরেই বড় ধরনের পতনের মুখে চলে যাওয়ার আশঙ্কা মোটেও অমূলক হবে না, কারণ একটি খাতের ৩০টি কোম্পানি নিয়ে তো আর পুঁজিবাজার চলতে পারে না।

গতকাল ব্যাংক খাতের প্রায় ৮৭ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর ইতিবাচক ছিল। মাত্র চারটি কোম্পানির দর কমেছে। এ খাতে লেনদেন হয়েছে ৪৯২ কোটি টাকা। আগের কার্যদিবসে এ খাতে লেনদেন হয় ২৯১ কোটি টাকা।  গতকাল ব্যাংক খাতে নতুন অর্থ ঢুকেছে ২০০ কোটি টাকার বেশি। দেশের পুঁজিবাজারে ৩৪টি কোম্পানি নিয়ে বৃহৎ খাত হিসেবে বিবেচিত প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয় মোট লেনদেনের মাত্র ছয় শতাংশ। এ খাতের মাত্র সাতটি কোম্পানির দর বেড়েছে, কমেছে ২৭টির। ৪৮টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত বস্ত্র খাতে লেনদেন হয় মোট লেনদেনের মাত্র পাঁচ শতাংশ। এ খাতে মাত্র চারটি কোম্পানির দর বেড়েছে, কমেছে ৪৪টির। আর্থিক খাতে লেনদেন হয় পাঁচ শতাংশ। এ খাতের ১০টি কোম্পানির দর বেড়েছে, কমেছে ১২টির, অপরিবর্তিত একটি। ওষুধ খাতে লেনদেন হয় পাঁচ শতাংশ। এ খাতের ২৮টি কোম্পানির মধ্যে একটি অপরিবর্তিত এবং বাকি সবগুলোর পতন হয়েছে। তবে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে লেনদেন হয় মোট লেনদেনের ১০ শতাংশ। এ খাতে লেনদেন বৃদ্ধির নেপথ্যে ছিল নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি আমরা নেট। প্রথম দিনেই এর ৭০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়, যা ওই খাতে মোট লেনদেনের ৮৫ শতাংশ। বিমা খাতের ২২টি কোম্পানির দর ইতিবাচক ছিল এবং ২২টি কোম্পানি দরপতনে ছিল। এ খাতের সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স ও তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স টপ টেন গেইনার তালিকায় অবস্থান করে। এছাড়া দরবৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় বাকিগুলো ছিল ব্যাংক খাতের কোম্পানি। গতকাল লেনদেনের নেতৃত্বেও আমরা নেট ছাড়া বাকিগুলো ছিল ব্যাংক। এক্সিম ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, শাহজালাল ব্যাংক, এনবিএল, উত্তরা ব্যাংক, আইএফআইসি ও ইউসিবি লেনদেনের শীর্ষ পর্যায়ে অবস্থান করে।