Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 1:06 pm

আশা জাগিয়েও বড় স্কোর গড়তে পারেনি বাংলাদেশ

 

 

ক্রীড়া প্রতিবেদক: ভারতের বিপক্ষে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে আশা জাগিয়েও বড় স্কোর গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। যে ম্যাচটাকে বলা হচ্ছে টাইগারদের ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ম্যাচ। তাই তো সবার প্রত্যাশাটা একটু বেশিই মাশরাফি বিন মুর্তজার দলটির কাছে। কিন্তু গতকাল টস হেরে ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো ছিল না হাথুরুসিংহে শিষ্যদের। তারপরও তৃতীয় উইকেটে তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের ১২৩ রানের জুটি বড় স্কোরের আশা দেখিয়েছিল লাল-সবুজ প্রতিনিধিদের। কিন্তু ইনিংসের মাঝপথে দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ২৬৪ রানে থামে টাইগাররা।

এজবাস্টনের উইকেট চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সব সময় কথা বলেছে ব্যাটসম্যানদের হয়ে। গতকালও তেমনটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ব্যাটিংয়ের শুরুতেই সৌম্য সরকারকে হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। এরপর কিছুক্ষণ চলে সাব্বির রহমান শো। ২১ বলে ৪টি চারে ১৯ রান করে ভুবেনশ্বর কুমারের বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন সাজঘরে। ৩১ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বেশ বিপদেই পড়ে যায় টাইগাররা। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে প্রতিপক্ষ বোলারদের বিপক্ষে বেশ খেলছিলেন তামিম ইকবাল। তৃতীয় উইকেটে শুরুতে দেখে-শুনে খেলেন তারা। এরপর সময় যত গড়িয়েছে তাদের ব্যাটিংটা ঠিক ততটাই হয়েছে চওড়া। ২৭ ওভারে বাংলাদেশের রানকে ২ উইকেটে ১৫২ তে পৌঁছে দেন তারা। এরমধ্যে তামিম ও মুশফিক দুজনই তুলে নিয়েছিলেন হাফসেঞ্চুরি।

তামিম-মুশফিক যখন ব্যাট করছিলেন, তখন টাইগাররা আশা করছিলেন বড় স্কোরের। এরমধ্যে ধারাভাষ্যকক্ষে আলোচনাও হয়েছিল, বাংলাদেশ ৩৩০-৩৪০ রান করবে। কিন্তু হঠাৎ কী থেকে কী হয়ে গেল। ২২৯ রানের মধ্যেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসলো হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। তখন আড়াইশ পার করা নিয়ে অনেকের মধ্যে দেখা যায় সন্দেহ। শেষ পর্যন্ত মাশরাফি বিন মুর্তজার ২৫ বলে ৩০ রানে ভর করে নির্ধারিত ওভার শেষে ২৬৪ রানে থামে বাংলাদেশ।

তৃতীয় উইকেটে তামিম ইকবাল-মুশফিকুর রহিম ১২৩ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে খেলায় ফিরিয়ে আনেন। ঠিক সেসময় বোলিং পরিবর্তন করে বিরাট কোহলি আক্রমণে আনেন কেদার যাদবকে। তিনিই ৭০ রানে তামিম ইকবালকে বোল্ড করেন। এদিকে মুশফিকুর রহিমও ৬১ রানে একই বোলারের বলে কোহলির হাতে ধরা পড়ে সাজঘরে ফেরেন। বলা যায়, সেখান থেকে বাংলাদেশের ইনিংসের পতন শুরু। এরপর সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মোসাদ্দেক হোসেনরা পারেনি নিজেদের মেলে ধরতে। যে কারণে রানের গতিটা হঠাৎ করেই থেমে যায়। শেষ দিকে অধিনায়ক মাশরাফির ব্যাটে ভর করে দলীয় স্কোর আড়াইশ পার করে টিম টাইগার্স।

ভারতের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ভুবনেশ্বর কুমার, জাসপ্রিত বুমরা ও কেদার যাদব।

এ রিপোর্ট যখন লিখছি ভারত তখন ব্যাটিংয়ে নেমে গেছে। কোনো উইকেট না হারিয়ে দলটি ৩৬ রান তুলে ফেলেছে। রোহিত শর্মা ২১ ও শেখর ধাওয়ান ১৫ রানে ব্যাট করছিলেন। বলা যায় ২৬৪ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্তই হয়েছে ভারতের। পারবে কি বাংলাদেশ? এ প্রশ্নের উত্তরটা পাঠক নিশ্চয় পেয়ে যাবেন রাতেই।