প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মৃণাল কান্তি দাশ নামে এক শিক্ষকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিজের ভাড়া বাসার শয়নকক্ষ থেকে ফিরোজ মিয়া সরকারি কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সিনিয়র এই প্রভাষকের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্ত্রী দাবি করেছেন, মৃণাল কান্তি দাশ মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।
গতকাল শনিবার জেলার আশুগঞ্জ উপজেলা সদরে আলমনগরে ভাড়া বাসা থেকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার মুতুরাপুর গ্রামের মৃত শান্তি রঞ্জন দাশের ছেলে। আশুগঞ্জ ফিরোজ মিয়া সরকারি কলেজের সমাজ-বিজ্ঞান বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক ছিলেন তিনি।
নিহতের স্ত্রী স্বপ্না রানীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মৃণাল কান্তি দাশ গত শুক্রবার রাতে খাবার না খেয়েই শয়নকক্ষের দরজা বন্ধ করে শুয়ে পড়েন। গতকাল
শনিবার সকালে তার কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় বাড়ির কেয়ারটেকারসহ অন্যান্য লোকজনকে ডেকে আনা হয়। পরে বিষয়টি অবহিত করা হয় পুলিশকে। খবর পেয়ে আশুগঞ্জ থানা পুলিশ শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে রুমের দরজা কেটে ভেতরে প্রবেশ করে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়। স্ত্রী স্বপ্না রানী দাবি করেন, তার স্বামী মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।
আশুগঞ্জ থানার ওসি জাবেদ মাহমুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।