নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে দেশে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১৩০ জন। এসব ঘটনায় মোট আট হাজার ৫৯৪ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৫৭ জন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা ও সমর্থক, চারজন বিএনপির নেতাকর্মী ও একজন সাংবাদিক। নিহতদের মধ্যে ৫০ জনের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই।
রোববার আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) প্রকাশ করা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। দেশের কয়েকটি জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকার বরাত দিয়ে মানবাধিকার সংস্থাটি এ প্রতিবেদন তৈরী করেছে।
সংস্থাটি বলছে, গত ১১ মাসে দেশে ৬৮৮টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনার খবর প্রকাশ হয়েছে।এসব ঘটনায় আওয়ামী লীগ কর্মীদের ১২ জন নিজেদের দলের মধ্যে লাগা সংঘর্ষে মারা যান। তাদের আটজন আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের, একজন আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের এবং তিনজন যুবলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন।
চলতি বছরের জুনে শুরু হওয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ৪০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। গত ২০ জুন প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ২৬ ডিসেম্বর ইউপি নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের দিন ধার্য করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পঞ্চম ও ষষ্ঠ ধাপের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে।
একই সময়ে দেশে ১ হাজার ২৪৭টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষণের চেষ্টা হয়েছে ২৮৬টি আর ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটেছে ৪৬টি। ধর্ষণ-পরবর্তী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন ৯ জন। একই সময়ে ২১৩ নারী স্বামীর নির্যাতনে নিহত হয়েছেন।
১১ মাসে ৫৪৭ শিশু হত্যাকাণ্ডের স্বীকার হয়েছে যার মধ্যে ১২৮ জনের বয়স ছয় বছরের নিচে। ৭-১২ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা ১২৫ জন। এসব ঘটনায় ২১৯টি মামলা হয়েছে।
অন্যদিকে চলতি বছরের ১১ মাসে ১৯৩ জন সাংবাদিক নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন। ১৩ জন সাংবাদিক ক্ষমতাশীনদের কাছ থেকে হুমকি পেয়েছেন বলেও আসকের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।