নিজস্ব প্রতিবেদক: আসবাব নির্মাণ শিল্পের উদ্যোক্তাদের আমদানিকৃত কাঁচামালের ওপর ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ও ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক পরিশোধ করতে হয়। আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে এ বিধানের পরিবর্তন চান তারা। সম্পূরক শুল্প কমিয়ে আনা ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন এ খাতের উদ্যোক্তারা।
আসবাব, পার্টিকেল বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত এফবিসিসিআই স্থায়ী কমিটির প্রথম সভায় এ দাবি জানান তারা। গতকাল বিকালে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় এ খাতের উদ্যোক্তারা জানান, আসবাবপত্র রপ্তানিতে ১৫ শতাংশ প্রণোদনা দেয়া হলেও এটি মূলত প্রণোদনা নয়। কেননা, অন্যান্য রপ্তানিমুখী খাত কাঁচামাল আমদানিতে শূন্য শুল্ক সুবিধা পেলেও আসবাবপত্রের কাঁচামালে সব ধরনের শুল্ক ও কর পরিশোধ করতে হয়। সেই অর্থের কিছুটা ফেরত দিতে এই প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছে সরকার। কিন্তু আগামী বাজেটে প্রণোদনার হার অন্তত ২০ শতাংশ করার দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।
এ ছাড়া আসবাবপত্র খাতে সামগ্রিক করভার ৮৯ শতাংশ বলে জানান বক্তারা। নতুন বাজেটে এ করভার কমানোর দাবিও জানান তারা। উদ্যোক্তারা বলেন, সরকারের নীতি সহায়তা পেলে এই শিল্পে ভবিষ্যতে তৈরি পোশাকের চেয়েও বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব হবে। এ সময় বক্তারা কর কর্মকর্তাদের নানা হয়রানির কথা তুলে ধরে এ ভোগান্তির অবসান চান।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি এম এ মোমেন। তিনি স্থায়ী কমিটিকে আসবাব শিল্পের কর কাঠামোতে যেসব অসঙ্গতি আছে, সেগুলো চিহ্নিত করে এফবিসিসিআইকে জানাতে বলেন। এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী বাজেটে এসব অসঙ্গতি দূর করার বিষয়ে এফবিসিসিআই কাজ করবে বলে আশ্বাস দেন সহ-সভাপতি এম এ মোমেন।
এর আগে কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ ও আক্তার ফার্নিচারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এম আক্তারুজ্জামান বলেন, বন্ডের ওয়্যারহাউস সুবিধা পেলে, বাংলাদেশের আসবাবপত্রের রপ্তানি আরও বাড়বে।
উচ্চহারের কর-শুল্ক আসবাব রপ্তানিতে সবচেয়ে বড় বাধা বলে উল্লেখ করেন স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ও পারটেক্স স্টার গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির কো-চেয়ারম্যান হাতিল ফার্নিচারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম এইচ রহমান, নাদিয়া ফার্নিচারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ করিম মজুমদার, পার্টেক্স ফার্নিচারের হেড অব বিজনেস মো. শাহ আলম মুন্সি, এফবিসিসিআইয়ের মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হকসহ কমিটির অন্য সদস্যরা।