দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সংগঠন আসিয়ানের শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে পারবেন না মিয়ানমারের জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং। এর পরিবর্তে মিয়ানমারের কোনো অরাজনৈতিক প্রতিনিধিকে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেবে সংগঠনটি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে। চলতি মাসের শেষের দিকে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর দেশটির সামরিক বাহিনী শান্তি রোডম্যাপ মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আসিয়ান।
আসিয়ানের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মিয়ানমারের সংকট নিরসনে জান্তা সরকার যথেষ্ট করেনি।
গত আগস্টে মিয়ানমারের জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং নিজেকে মিয়ানমারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করেন। তখন তিনি জানান, মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা জারি থাকবে। সম্প্রতি দেশটিতে বিদ্রোহী এবং সেনাদের সঙ্গে তুমুল লড়াই শুরু হয়েছে।
চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন দল এনএলডিকে উৎখাত করেছিল মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। সে সময় তারা সুচির দলের বিরুদ্ধে নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ এনেছিল এবং সুচিসহ দেশটির প্রেসিডেন্টকে বন্দি করেছিল। তবে জালিয়াতির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিল দেশটির নির্বাচন কমিশন। এ অবস্থায় জান্তাকে অবৈধ ঘোষণা দিয়ে একটি ছায়া সরকার গড়ে তোলেন মিয়ানমারের রাজনীতিবিদেরা, যার বেশির ভাগ সদস্যই এনএলডির। জাতীয় ঐক্য সরকার (এনইউজি) নাম দিয়ে এটিকেই মিয়ানমারের বৈধ সরকার বলে দাবি করেন তাঁরা। অবশ্য মিয়ানমার জান্তা এনইউজি’কে ‘সন্ত্রাসী’ বলে ঘোষণা দিয়েছে।
অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে ধর্মঘট ও বিক্ষোভের সময় জাতিসংঘের মতে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে এক হাজারেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষ গ্রেপ্তার হয়েছে।