প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ সমাজ গড়ে তোলার চেষ্টা করি। কোন বিভক্তি নয়, ঐক্যই হোক এ জাতির সৌন্দর্য ও সমৃদ্ধি। ঐক্যমতের ভিত্তিতে দেশবাসী মিলে আমরা অন্তঃবর্তী সরকারকে দায়িত্ব দিয়েছি। তারা যদি ভালো কিছু করে দেশবাসী উপকৃত হবে, আমি উপকৃত হবো, আপনি উপকৃত হবেন। কিন্তু তারা যদি কোন ভূল করে, আমরা তাদেরকে ধরিয়ে দিব সংশোধন করে দিবো। কিছু বিষয় আমাদের দৃষ্টিতে এসেছে, আমরা পরামর্শ দিয়েছি, ইতিবাচক ফল পেয়েছি। মানুষ হিসেবে তাদের জন্য দোয়া করা উচিত। তারা যেন জাতির প্রত্যাশা এবং বিবেকের বাইরে গিয়ে কোন কাজ না করেন।
২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে স্থানীয় একটি হোটেলে চুয়াডাঙ্গায় জামায়াতের দায়িত্বশীল সমাবেশ কেন্দ্রীয় আমীর ডা. শফিকুর রহমান উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
জামায়াতের চুয়াডাঙ্গা জেলা আমীর রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় আমীর ডা. শফিকুর রহমান আরো বলেন, ভারত যেমন একটি দেশ, আমরাও তেমন একটি দেশ। ভারত ছাড়াও আমাদের প্রতিবেশি আছে। বিশ্বসভায় আরো অনেকগুলো দেশ আছে। সবার প্রতি আমাদের একই কথা, বিশ্বসভার সমস্ত সদস্যরা আমরা মিলেমিশে পারস্পরিক মর্যদা ও সমতার ভিত্তিতে সামনে এগিয়ে যাব।
অন্তবর্তী সরকার প্রসঙ্গে ড. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা কেউ ভুলের ঊর্ধ্বে না। যারা দায়িত্বে আছেন তারা এ দেশেরই মানুষ। আমরা দেশবাসী ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে তাদের দায়িত্ব দিয়েছি। সুতরাং তারা যদি ভালো কিছু করে তাহলে দেশবাসী উপকৃত হবে। আমি ও আপনি উপকৃত হবো। তারা যদি কোনো ভুল করেন, আমরা তা ধরিয়ে দেবো এবং সংশোধন করে দেবো। ইতিমধ্যে কিছু বিষয় আমাদের দৃষ্টিতে এসেছিল। আমরা সেসব বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছি এবং ইতিবাচক ফল পেয়েছি। মানুষ হিসেবে তাদের জন্য দোয়া করা উচিত। তারা যেন জাতির আবেগ ও প্রত্যাশা পূরণ করতে পারে। তিনি বলেন,বাংলাদেশে ৯১শতাংশ মুসলমান । এখানে ইনসাফপূর্ণ দেশ কায়েম করার জন্য ভালো ক্ষেত্র। তিনি বলেন, কেউ কেউ আবার হিন্দু,বৌদ্ধ ্রখ্রিস্টানে আমাদের দেশকে বিভক্ত করতে চায়।আমরা এই বিভক্তিতে বিশ^াসী নয়, যারাই এ দেশে জন্ম গ্রহণ করেছে তারাই বাংলাদেশী। তিনি বলেন,বিগত সরকার বাঁচার জন্য গণহত্যা করেছে। আর এর দায় চাপানোর জন্য দেশপ্রেমিক সংগঠন জামায়াত ও শিবিরকে নিষিদ্ধ করেছে। তিনি বলেন, আমরা যদি রসুলের সিরাতের দিকে তাকাই তাহলে দেখবো এ পথে যারাই চলবে তাদেরকে নির্যাতনের সম্মুখীন হতে হবে। আমাদের নবী (স) নবুয়ত থেকে ওফাত পর্যন্ত শান্তিতে ঘুমাতে পারেননি।
জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী এ্যাড. আসাদুজ্জামানের সঞ্চালনায় দায়িত্বশীল সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, মেহেরপুর জেলা আমীর মওলানা তাজউদ্দিন।
হাফেজ আব্দুল খালেকের কোরআন থেকে তেলওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা আমীর অধ্যাপক আবুল হাশেম, চুয়াডাঙ্গা জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা আজিজুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারী এ্যাডভেকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল, আব্দুল কাদের, জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর আনোয়ারুল হক মালিক ,মেহেরপুর জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা মাহবুব আলম,মেহেরপুর জামায়াতের জেলা সেক্রেটারী ইকবাল হুসাইন , চুয়াডাঙ্গা ছাত্রশিবিরের জেলা সেক্রেটারী সাগর আহমেদ ও সভাপতি হাফেজ মহসিন এমদাদুল্লাহ জামেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলার জামায়াতের দায়িত্বশীল সদস্যরা অংশ নেয়।