সোনালী, বিডিবিএল ও জনতার পরীক্ষা স্থগিত

আহ্ছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে কালো তালিকাভুক্ত করল বাংলাদেশ ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা ও বিডিবিএল ব্যাংকের আগামীকাল ও ২০ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ দুটি নিয়োগ পরীক্ষার দায়িত্বে ছিল আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। একই সঙ্গে আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে কালো তালিকাভুক্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে এমন তথ্য।

তবে আজ (১২ নভেম্বর) অনুষ্ঠেয় পরীক্ষা যথানিয়মে অনুষ্ঠিত হবে। এর দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এদিকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করেছে আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কারণ দর্শানোর নোটিসের বিপরীতে গতকাল এ তথ্য জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, কারণ দর্শানোর উত্তরে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার বিষয়টির দায় স্বীকার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বরখাস্ত ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার কথাও বাংলাদেশ ব্যাংকে জানায় বিশ্ববিদ্যালয়টি।

প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ঘটনায় গত ১০ নভেম্বর কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। পরের দিন অর্থাৎ গতকাল ১১ নভেম্বর দায় স্বীকার করে ব্যাখ্যা দেয় আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সূত্র জানিয়েছে, গত ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত পরীক্ষাটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মামলার কার্যক্রম চলমান থাকায় ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে আগামী ১৪ নভেম্বর এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

জানা গেছে, প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ঘটনায় গতকালও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচটি ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) পদে এক হাজার ৫১১ জনকে নিয়োগ দিতে ৬ নভেম্বর বিকালে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিকাল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন কেন্দ্রে এমসিকিউ পদ্ধতিতে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরপরই উত্তরসহ প্রশ্নপত্র ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়।

পরের দিন প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। দাবি করা হয়, পরীক্ষা বাতিল করার। বিষয়টি তখন থেকেই আলোচিত হয়। এর পরই তদন্তে নামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) জানায়, গ্রেপ্তার পাঁচ সদস্যের মধ্যে দুজন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কর্মকর্তা। তারা পরপর চারটি ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছেন। প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকে জানিয়েছেন তারা।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) একেএম হাফিজ আক্তার জানান, চক্রটি এ পর্যন্ত প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় ৬০ কোটি টাকা। ডিবি জানায়, গ্রেপ্তার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে প্রশ্নপত্র প্রণয়নসহ পরীক্ষা আয়োজনে দায়িত্বপ্রাপ্ত আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি বিভাগ থেকে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০