Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 4:27 pm

আড়াই লাখ টন চাল আমদানি করছে সরকার

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভিয়েতনাম থেকে আড়াই লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৯০৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।

গতকাল বুধবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে দরপত্র ছাড়াই সরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির এ প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।

পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ভিয়েতনাম থেকে প্রতি মেট্রিক টন ৪৭০ মার্কিন ডলারে ৫০ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল আমদানি করা হবে। এতে খরচ হবে ১৯৫ কোটি পাঁচ লাখ টাকা। এ ছাড়া ৪৩০ মার্কিন ডলার দরে দুই লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানি করা হবে। তাতে খরচ হবে ৭১৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

জানা গেছে, ভিয়েতনামের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি ভিনাফুড টু এ চালের ৬০ শতাংশ চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে এবং বাকি ৪০ শতাংশ মোংলা বন্দর দিয়ে সরবরাহ করবে।

প্রসঙ্গত, সর্বশেষ ২০১১-১২ সালে ভিয়েতনাম থেকে আড়াই লাখ টন চাল আমদানি করেছিল সরকার। তবে ধান উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করায় এরপর বেশ কয়েক বছর আর সরকারি পর্যায়ে চাল আমদানি করতে হয়নি। তখন কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে আমদানি নিরুৎসাহিত করার জন্য ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে চাল আমদানিতে শুল্কহার ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করে সরকার। এর সঙ্গে রেগুলেটরি ডিউটি তিন শতাংশ যোগ হওয়ায় ব্যবসায়ীদের ২৮ শতাংশ শুল্ক গুনতে হয়। ফলে গত দেড় বছর ধরে বেসরকারি পর্যায়েও চাল আমদানি প্রায় বন্ধ। কিন্তু এবার আগাম বন্যায় হাওরে বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে (১০ টাকা কেজি দরের চাল) সাড়ে সাত লাখ টন চাল বিতরণ করায় সরকারি মজুদ তলানিতে নেমে এসেছে। গত বছর এপ্রিলে যেখানে সরকারি গুদামগুলোতে সাড়ে সাত লাখ মেট্রিক টনের বেশি চাল ছিল, সেখানে এ বছর জুনে তা ১ দশমিক ৯৩ লাখ মেট্রিক টনে ঠেকেছে।

ফলে ভরা মৌসুমেও বেশ কিছু দিন ধরে বাজারে চালের দাম বেড়ে চলেছে। ফসলহানির পাশাপাশি ধানের দাম বেশি থাকার কথা বলে চালের বাড়তি দাম নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এ পরিস্থিতিতে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারিভাবে মোট ছয় লাখ টন চাল আমদানির পরিকল্পনা করা হয়। এর মধ্যে প্রথম এক লাখ টনের দরপত্রও দেওয়া হয়েছে। সরকার বলছে, আমদানি করা চাল দেশে এলে বাজারে দামও কমে আসবে।