আইটি ব্লগিং চালিয়ে যেতে চাই সারা জীবন। যে পেশাতেই যাই না কেন, প্রযুক্তি ব্যবহার করে কীভাবে দেশের উন্নতি-অগ্রগতি করা যায়, সে বিষয়ে কাজ করতে চাই। প্রযুক্তি ব্যবহার করে কীভাবে পড়াশোনা আরও মজাদার ও সহজ করা যায় সে বিষয়েও কাজ করতে চাই। কথাগুলো বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী তৌহিদুর রহমান মাহিনের।
তার হাতে কম্পিউটার আসার পর থেকেই প্রযুক্তির ওপর ব্যাপক আগ্রহ জন্মায়। বাসায় ইন্টারনেট সংযোগ পেয়ে সেই আগ্রহে যায় বাঁধ ভেঙে। শুরুতে প্রযুক্তির ব্যাপারে খুব বেশি জানাশোনা ছিল না বললেই চলে। এজন্য ইন্টারনেটে কীভাবে কাজ করতে হয়, শুরুতে সেটা শিখে নেন তিনি। একটি ওয়েবসাইট কীভাবে বানাতে হয়, এটি কীভাবে পরিচালিত হয়Ñসে বিষয়ে জানতে শুরু করেন। কয়েক মাস আইটিভিত্তিক বিভিন্ন বই, টেকনিক্যাল সাইট অনুসরণ করে এ বিষয়ে মোটামুটি দক্ষতা অর্জন করেন। আইটিকথন ডটকম এবং পরবর্তীকালে আশ্চর্য ডটকম নামে নিজেই একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে ফেলেন। নিজের সাইট ডেভেলপ ও আইটিবিষয়ক ব্লগিং নিয়ে কাজ করতে করতে তার দক্ষ হয়ে ওঠা। তবে পর্যাপ্ত সময় ও অতিরিক্ত পড়ার চাপে এই ওয়েবসাইটগুলো সচল রাখতে পারেননি। ইতোমধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ডিজাইন করে দিয়েছেন তিনি।
২০১৫ সালের মাঝামাঝি থেকে ব্লগিং করতাম। আমার ব্লগ আর্টিকেলে মানুষের ইতিবাচক মন্তব্যগুলো দারুণ লাগে, আমাকে অনুপ্রাণিত করে। ২০১৬ সালে আরও ভালোভাবে শুরু করি। অনেক সাড়া পাই। জনপ্রিয় বাংলা প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্ম টেকটিউনসে সুপ্রিম টিউনার হিসেবে কাজ শুরু করি। আমি আগেও টেকটিউনসে লিখতাম; তবে একজন সাধারণ লেখক হিসেবে। পরবর্তী সময়ে এখানে আমি অফিসিয়াল সুপ্রিম টিউনার হিসেবে কাজ করি। সর্বশেষ ২০১৭ সালে টেকহাবস প্রযুক্তি ব্লগে যোগ দিই। বর্তমানে প্রতিষ্ঠাতা তাহমিদ বোরহান ভাই ও সিয়াম একান্ত ভাইয়ের সঙ্গে মিলে ব্লগটি পরিচালনা করছি। ব্লগিং থেকেও যে পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করা যায়, তা আমি ধরে ফেলেছি। একে আমি ব্লগিং করার সফলতা মনে করি। বর্তমানে তিনি লাইটওয়েব আইটি নামে একটি আইটি কোম্পানিতে সেলস ডাইরেক্টর হিসেবে কাজ করছেন।
পড়াশোনার পাশাপাশি এত দিকে নজর দেওয়া অনেকের কাছে অসম্ভব। তবে তার কাছে অসম্ভব নয়। কেননা তার তিনটি পাবলিক পরীক্ষার ফলের দিকে তাকালেই তা বোঝা যায়। পিইসি, জেএসসি ও এসএসসি তিনটি পরীক্ষায়ই জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
গ্রাফিকস ডিজাইনেও দক্ষ তিনি। পড়াশোনার জন্য এখন ওয়েব ডিজাইন-ডেভেলপিংয়ে মনোনিবেশ করতে পারছেন না। শুরু থেকে অভিভাবকদের সহযোগিতা পেয়েছেন। তবে তারা পড়াশোনার প্রতি অত্যধিক গুরুত্ব দিতে বলেন। পাশাপাশি এসব কাজের জন্য উৎসাহ জোগান।
মাসুদ আনসারী