প্রতিনিধি, মেহেরপুর: ছাত্র আন্দোলনের ফলে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দেশের বিভিন্ন এলাকায় জেলা পরিষদ, উপজেলা ও পৌরসভার চেয়ারম্যানদের অপসারণ করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় সারা দেশে আওয়ামী সমর্থিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করেনি আবার অনেকে আত্মগোপনে চলে যায়।
সরকার পতনে পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে অনুপস্থিত থাকেন চেয়ারম্যানরা। গত ১৮ তারিখে কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম রেজার অপসারণের দাবীতে ইউনিয়নের সংক্ষুব্ধ জনগণ চেয়ারম্যান সেলিম রেজার রুমে তালাবদ্ধ করে।
পরে জেলা বিএনপির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক রায়হানুল কবির, জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলি ভূট্টো, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শহিদুল আলম, কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি শামীম ও সাধারণ সম্পাদক গ্যাস বাবুর উপস্থিতিতে গত ১০ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন পরিষদের তালা ভেঙ্গে চেয়ারে বসানো হয় ওই চেয়ারম্যানকে। এ ঘটনায় চেয়ারম্যান সেলিম রেজার অপসারণ ও জড়িতদের বিএনপি থেকে বহিস্কারের দাবী জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে মেহেরপুর জেলা বিএনপির একাংশ।
জেলা বিএনপি’র বড় বাজার অফিসে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। মেহেরপুর জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিজান মেননের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ফয়েজ মোহাম্মদ।
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ফয়েজ মোহাম্মদ বলেন, আমরা জেলা বিএনপি’র নেতাকর্মী যারা ১/১১ পরবর্তী বিএনপি’র সংস্কারপন্থী দালালদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে আসছি তারাই এখানে উপস্থিত আছি। গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগের অত্যাচারে দেশের বিএনপি সহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা জীবন বাজি রেখে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে আসছি। গত ৫ই আগষ্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে হাসিনার পতন হয়েছে। কিন্তু মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র বেশ কিছু দালাল নেতা আওয়ামী লীগকে রক্ষার জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে। তারই ফলস্বরুপ এই ঘটনা কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে স্বপদে বসিয়ে দেয়। যা আমাদের জন্য অত্যান্ত লজ্জাকর।
এসময় জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ওমর ফারুক লিটন, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান লাবলু, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হক, জেলা জিয়া মঞ্চের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম মনি, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নাহিদ মাহবুব সানিসহ জেলার বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।