ইংল্যান্ডকে ইনিংস হারের লজ্জা দিয়ে ফাইনালে ভারত

ক্রীড়া ডেস্ক: ফের ইংল্যান্ড শিবিরে দুঃস্বপ্ন হয়ে দেখা দিলেন অস্কর প্যাটেল ও রবিচন্দ্রণ অশ্বিন। আহমেদাবাদের স্পিন ফ্রেন্ডলি উইকেটে শনিবারও ঐ দুই তারকার ঘূর্ণিতেই দুমড়ে মুচড়ে গেল সফরকারীরা। এ সুবাদে তিন দিনেই ইংলিশদের ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জিতে নিল ভারত। সঙ্গে সঙ্গে বিরাট কোহলির দল জায়গা করে নিল আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। যে ম্যাচটি হবে আগামী জুনে লর্ডসে।

আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে চতুর্থ ও শেষ টেস্টে ইংল্যান্ডকে ইনিংস ও ২৫ রানে হারিয়েছে ভারত। এরফলে চার ম্যাচের সিরিজটি স্বাগতিকরা জিতে নিয়েছে ৩-১ ব্যবধানে।

শনিবার আহমেদাবাদ টেস্টের তৃতীয় দিনের সকালের সেশনে ৩৬৫ রানে গুটিয়ে যায় ভারতের প্রথম ইনিংস। ১৬০ রানে পিছিয়ে থেকে সফরকারীরা দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে যায় ১৩৫ রানে। তাই স্বাগতিকরা ইনিংস ও ২৫ রানে জিতে ট্রফি উল্লাসে মাতে।

১৬০ রানে পেছনে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি ইংল্যান্ডের। লাঞ্চের পর ফিরেই অস্কার প্যাটেল ও রবিচন্দন অশ্বিনের ঘূর্নি জাদুতে মুখ থুবড়ে পড়ে সফরকারীরা। যে কারণে তারা স্কোর বোর্ডে ৯১ রান তুলতেই হারিয়ে বসে ৬ উইকেট খুঁইয়ে চা-বিরতিতেই ইনিংস হার কার্যত নিশ্চিত করে ফেলে। চা-বিরতির আগে ৩০ রান করে ইংরেজ অধিনায়ক রুট ঢাল হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অশ্বিনের স্পিনে লেগ-বিফোর হয়ে ফেরেন তিনি।

এদিকে চা-বিরতির পর ড্যান লরেন্সের ব্যাটে ইনিংস হার বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল ইংরেজরা। কিন্তু টেল-এন্ডারদের কারও থেকে যথোপযুক্ত সাহায্য পাননি তিনি। শেষ অবধি অর্ধশতরান পূর্ণ করে ড্যান লরেন্স (৫০) ফিরতেই ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে মাত্র ১৩৫ রানে। ৫টি করে উইকেট নেন প্যাটেল এবং অশ্বিন। এরফলে টানা তিন টেস্টে ৫ উইকেট নিয়েছেন অস্কার। আর অশ্বিনের টেস্টে এটি ৩০তম ৫ উইকেট। এই সংস্করণে সবচেয়ে বেশিবার ৫ উইকেট নেওয়ার তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে নাম লিখিয়েছেন জেমস অ্যান্ডাসনের পাশে।

এরআগে ভারতকে দেড়শ ছাড়ানো লিড এনে দিতে রিশাভ পান্তের পর দারুণ একটি ইনিংস খেলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির কাছে গিয়েও সঙ্গীর অভাবে অধরা হয়ে থাকলো সেটি। আট নম্বরে নেমে তিনি খেলেছেন অপরাজিত ৯৬ রানের ইনিংস।

আগের দিনের ৭ উইকেটে ২৯৪ রান নিয়ে শনিবার দিন শুরু করে ভারত। দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান সুন্দর ও অস্কর। তারা গড়েন গড়েন শতরানের জুটি। আস্থার সঙ্গে খেলে অস্কার ফিফটি ও সুন্দর সেঞ্চুরির দিকে এগোতে থাকেন। এর মধ্যেই ৪৩ রানে অস্কার রান আউট হলে ভাঙে তাদের ১০৬ রানের জুটি। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের ৯৭ বলের ইনিংসে ৫ চার ও এক ছক্কা।

অস্কার ফিরলেও এক প্রান্ত আগলে রেখে সেঞ্চুরির পথে হাঁটছিলেন সুন্দর। কিন্তু অন্য প্রান্তে যোগ্য সঙ্গীর অভাবে এ অলরাউন্ডার পারেননি তিন অঙ্ক ছুঁতে। শেষ পর্যন্ত তিনি ৯৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। তার আগে অবশ্য এ বাঁহাতি ভারতকে এনে দেন বড় লিডই। যার ওপর দাঁড়িয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ না হওয়ার আগেই দারুণ জয় তুলে নেন ভারত।

অসাধারণ সেঞ্চুরির সুবাদে ম্যাচসেরা হয়েছেন রিশাভ পান্থ। আর পুরো সিরিজে বল হাদে জাদু দেখিয়ে সিরিজ সেরা হয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০