স্পোর্টস ডেস্ক: সুপার টুয়েলভ পর্বে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটায় ফাইটিং স্কোর গড়লেও হারতে হয় ক্যাচ মিসের ভুলে। তারপরও সমর্থকদের আশা ছিলা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। কিন্তু জয় তো দূরের কথা এই ম্যাচে লড়াইটাও করতে পারেনি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। ৪১ বল আর ৮ উইকেট হাতে রেখে হেসেখেলেই বাংলাদেশকে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। তাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে ওঠার স্বপ্ন ফিকে হয়ে গেলো টাইগারদের।
অথচ বুধবার সুপার টুয়েলভের এই ম্যাচে টস ভাগ্য সহায় ছিল টাইগারদের। প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু ব্যাটিংয়ে ব্যর্থতার পরিচয় দেন দলের ব্যাটসম্যানরা। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১২৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করে বাংলাদেশ।
আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে শুরুতে বেশ ইতিবাচক দেখা যাচ্ছিল দুই ওপেনার নাইম শেখ আর লিটন দাসকে। প্রথম ওভারের শেষ দুই বলে দুটি বাউন্ডারি হাঁকান লিটন দাস। কিন্তু সেই শুরুটা বেশিদূর এগোতে পারেনি। মঈন আলির করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ক্যাচ হন লিটন (৮ বলে ৯)। পরের বলে তুলে মারতে গিয়ে মিডঅনে তুলে দেন নাইমও (৭ বলে ৫)। ১৪ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে ভীষণ চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
সেই চাপ আরও বাড়িয়েছেন অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান (৭ বলে ৪)। ক্রিস ওকসের বলে শর্ট ফাইন লেগে তুলে দেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, দারুণ এক ক্যাচ নেন আদিল রশিদ।
২৬ রানে ৩ ব্যাটসম্যান সাজঘরে। সেখান থেকে দলকে কিছুটা টেনে নিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু লিয়াম লিভিংস্টোনের ঘূর্ণি মিস করে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন মুশফিক (৩০ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ২৯)। তাতেই ভাঙে ৩২ বলে ৩৭ রানের আশা জাগানিয়া জুটিটি। এরপর রানআউট হন আফিফ হোসেন (৬ বলে ৫)। পরে একে একে আউট হন মাহমুদউল্লাহ (২৪ বলে ১৯), শেখ মেহেদি হাসান (১০ বলে ১১)।
তবে শেষদিকে নাসুম আহমেদের ৯ বলে ১ চার আর ২ ছক্কায় গড়া ১৯ রানের ইনিংস আর নুরুল হাসান সোহানের ১৮ বলে ১৬ রানে ভর করে ১২৪ রানে থামে বাংলাদেশ।
১২৫ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মারমুখী শুরু করেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জস বাটলার আর জেসন রয়। ২৮ বলেই তারা তুলে ফেলেন ৩৯ রান।
ঝড়ো এই জুটিটি শেষ পর্যন্ত ভাঙেন নাসুম আহমেদ। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বল হাতে নিয়েই উইকেটের দেখা পান বাঁহাতি এই স্পিনার।
নাসুমকে তুলে মারতে গিয়ে লংঅফে নাইম শেখের ক্যাচ হন জস বাটলার (১৮ বলে ১৮)। অবশ্য এর পরের জুটিই ম্যাচ বের করে নিয়ে আসে বাংলাদেশের হাত থেকে।
দ্বিতীয় উইকেটে ৪৮ বলে ৭৩ রান যোগ করেন জেসন রয় আর ডেভিড মালান। ৩৩ বলে ফিফটি পূরণ করেন রয়। শেষ পর্যন্ত ১৩তম ওভারে এসে আউট হন ইংলিশ ওপেনার। ৩৮ বলে ৫ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ৬১ রান করে থার্ডম্যানে নাসুমের ক্যাচ হন রয়।
তবে তখন ৪৩ বলে মাত্র ১৩ রান দরকার ইংল্যান্ডের। সেই পথটুকু অনায়াসেই পাড়ি দিয়েছেন ডেভিড মালান আর জনি বেয়ারস্টো। মালান ২৫ বলে ২৮ আর বেয়ারস্টো ৪ বলে ৮ রানে অপরাজিত থাকেন।
