ক্রীড়া ডেস্ক: কর ফাঁকির অভিযোগে আদালত প্রাঙ্গণে বেশ ব্যস্ত সময় কাটছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। এসব আইনি ঝামেলায় অনেকটা বিরক্ত হয়ে উঠেছেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা তা বলাই যায়। তা না হলে হঠাৎ করে স্পেন ছেড়ে কেনই বা আবারও ইংল্যান্ডে ফেরার ইচ্ছে প্রকাশ করবেন? কর ফাঁকির অভিযোগে আদালতে নিজের স্বপক্ষে যুক্তি দাঁড় করানোর সময় বিচারকদের সামনে এমন ইচ্ছার কথা জানান পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। রোনালদো বলেন, ‘ইংল্যান্ডে কখনও আমি এমন ঝামেলায় পড়িনি। সে কারণেই আবার সেখানে ফিরে যেতে চাই।’
রোনালদোর এ ঘোষণায় নিশ্চিতভাবে আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সমর্থকরা। কেননা, এ ম্যান ইউই যে বিশ্বের বুকে তুলে ধরেছিল এ প্রতিভাবান ফুটবলারকে। যার ক্ষিপ্রগতি আর স্কিলের কাছে হার মানতে বাধ্য বিশ্বের সব রক্ষণভাগ। স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের তত্ত্বাবধানে এক তরুণ পর্তুগিজ অল্প সময়ের মধ্যে হয়ে ওঠে বিশ্বের প্রতাপশালী ফরোয়ার্ড।
২০০৯ সালে তৎকালীন রেকর্ড ৯৪ মিলিয়ন ইউরোয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন সিআর সেভেন। আর তখন থেকেই শুরু হওয়া মেসির সঙ্গে তার দ্বৈরথ চলছে সাম্প্রতিক সময় পর্যন্ত। যেটি স্প্যানিশ লিগের দর্শক চাহিদা বাড়িয়ে দিয়েছে অনেক বেশি হারে।
কর ফাঁকির অভিযোগে অস্বীকৃতি জানিয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করতে বেশ জোরালো যুক্তি তুলে ধরেছেন রোনালদো, ‘আমি নিয়মিত কর পরিশোধ করেছি, সেটা ইংল্যান্ড এবং স্পেন দুই জায়গাতেই, সব সময়ই কর দিয়েছি। আপনারা জানেনই তো যে, সত্য কখনও লুকানো যায় না। আর আমার জন্য কোনো কিছু লুকানো একটা হাস্যকর ব্যাপার। আমি একটা খোলা বইয়ের মতোই, কিছুই লুকানোর নেই। গুগলে আমার নাম লিখে সার্চ দিলে আমার সম্পর্কে সব তথ্য চলে আসবে। যেমন ফোর্বস ম্যাগাজিন আমার আয় নিয়ে সবই প্রকাশ করেছে।’
গত নভেম্বরেই ২০২১ সাল পর্যন্ত রিয়ালের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেছেন রোনালদো। চুক্তিবদ্ধ হলেও গ্রীষ্মকালীন দলবদলের শুরুতে ঘনিষ্ঠজনদের কাছে ক্লাব ছাড়ার ইচ্ছে জানিয়েছিলেন রোনালদো। এর সূত্র ধরেই আদালতে নিজের মুখেই নিজের ইচ্ছের কথাটা বলে হয়তো একটা ইঙ্গিতই দিয়ে রাখলেন ইংলিশ ক্লাবগুলোকে!
Add Comment