Print Date & Time : 17 June 2025 Tuesday 1:31 pm

ইইউতে আশ্রয়ের আবেদন ১৭ শতাংশ কমেছে

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইউরোপীয় কমিশনের পরিসংখ্যান বিষয়ক সংস্থা ইউরোস্ট্যাট জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) আশ্রয় পেতে গত জুনে ৭০ হাজার ৩৭৫টি আবেদন পড়েছে৷ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সংখ্যাটি ১৭ শতাংশ কম। খবর: ডয়চে ভেলে।

মোট আবেদনের ১২ শতাংশ করেছেন সিরীয়রা৷ এরপরে রয়েছেন ভেনেজুয়েলা (৯ শতাংশ) ও আফগানিস্তানের (৮ শতাংশ) নাগরিকরা৷ মোট আবেদনের তিন-চতুর্থাংশের বেশি পেয়েছে জার্মানি, স্পেন, ইটালি ও ফ্রান্সের কর্তৃপক্ষ৷ ইউরোস্ট্যাট বলছে, ২ দশমিক ৯ শতাংশ আবেদন এসেছে অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছ থেকে, যাদের সঙ্গে পরিবারের কোনো সদস্য নেই৷ ২০২৪ সালের জুনে জার্মানিতে আশ্রয়ের আবেদন পড়েছে ১৬ হাজার ৭৭০টি৷ গতবছরের জুনের চেয়ে হারটি ২৭ শতাংশ কম।

চরম ডানপন্থিদের সমর্থন বাড়তে থাকায় সরকার অভিবাসন প্রক্রিয়া দিন দিন কঠোর করছে। গত সোমবার থেকে জার্মানির সব স্থলসীমান্তে পুলিশ নিয়ন্ত্রণ শুরু করেছে৷ ছয় মাসের জন্য এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে জার্মানি বেআইনি অনুপ্রবেশ কমাতে চায়। সরকার ও প্রধান বিরোধী শিবির রাজনৈতিক আশ্রয় ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে সংস্কারের লক্ষ্যে প্রাথমিক আলোচনা চালিয়েছে। বিরোধীরা জার্মানিতে প্রবেশ আরও কঠিন করতে চায়।

শলৎজ সরকার বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপের প্রস্তাব রেখেছে। বিরোধী ইউনিয়ন শিবির সেইসঙ্গে জার্মানিতে বিদেশিদের প্রবেশের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমানোর উপরও জোর দিচ্ছে। তাদের মতে, অভিবাসন ও সমাজের মূল স্রোতে বিদেশিদের সম্পৃক্ত করার কাজ সুষ্ঠুভাবে করতে হলে কর্তৃপক্ষের ক্ষমতার সীমা অতিক্রম করলে চলবে না। সীমান্তে আরও কড়া নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সেখান থেকে বিদেশিদের ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থাও করতে হবে। সিডিইউ দলের শীর্ষ নেতা ফ্রিডরিশ ম্যারৎস বলেন, অনিয়ন্ত্রিত অভিবাসনই মূল ইস্যু। তবে জাতীয় ও ইউরোপীয় আইন লঙ্ঘন না করে বাস্তবে কতটা কড়া পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

রাজনৈতিক আশ্রয়ের প্রশ্নে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাধারণ বিধিনিয়ম নিয়ে জার্মানির রাজনৈতিক মহলে সংশয় বাড়ছে। বিশেষ করে ডাবলিন চুক্তি সত্ত্বেও অন্য দেশে নথিভূক্ত আশ্রয়প্রার্থীরাও জার্মানিতে থেকে গিয়ে যেভাবে প্রত্যর্পণ এড়াতে পারছে, সেই প্রেক্ষাপটে জাতীয় স্তরে আরো কড়া নিয়মের দাবি বাড়ছে। মূল স্রোতের রাজনৈতিক দলগুলো ভোটারদের ক্ষোভের মুখে দলীয় রাজনীতির ঊর্দ্ধে উঠে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার তাগিদ অনুভব করছে। সাম্প্রতিক নির্বাচনে পপুলিস্ট দলগুলোর অভাবনীয় সাফল্য তাদের গভীর দুশ্চিন্তায় ফেলছে।