শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোয় ২০১৬ সালে পুরুষের তুলনায় নারীরা ১৬ শতাংশ কম আয় করেছে। ইউরোপিয়ান কমিশনের পরিসংখ্যানবিষয়ক সংস্থা ইউরোস্ট্যাট এ তথ্য জানিয়েছে। তবে সারা বিশ্বে এ হার আরও শোচনীয় অবস্থায় রয়েছে। এক্ষেত্রে নারীরা পুরুষের তুলনায় অন্তত ২৩ শতাংশ কম আয় করেছে। খবর আরব নিউজ।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ইউরোস্ট্যাটের প্রকাশিত তথ্যে আরও জানানো হয়েছে, ইউরোপের দেশগুলোয় পুরুষরা এক ঘণ্টায় অন্তত এক ইউরো আয় করেন। আর নারীদের ক্ষেত্রে এ পরিমাণ ৮৪ সেন্ট।
বৈশ্বিক ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষের তুলনায় আরও কম আয় করেন। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার তথ্যানুযায়ী, সারা বিশ্বে পুরুষের তুলনায় নারীরা ২৩ শতাংশ কম আয় করে। বর্তমানে যে ধারা চলছে, তা পূরণ করতে অন্তত ৭০ বছর সময়ের প্রয়োজন হবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
ইইউ দেশগুলোর এ লিঙ্গবৈষম্য যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় কিছুটা কম। সেখানে পুরুষ সহকর্মীর তুলনায় নারীরা ২০ শতাংশ কম অর্থ উপার্জন করে। ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে জার্মানি ও যুক্তরাজ্যে এ হার বেশি। এ দেশ দুটিতে ২১ শতাংশ কম আয় করে নারীরা।
এ অঞ্চলে রোমানিয়া, ইতালি ও লুক্সেমবুর্গ সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে। এ দেশগুলোয় নারী-পুরুষের আয়ের পার্থক্য মাত্র পাঁচ শতাংশ। এছাড়া ইউরোপের অন্যতম শীর্ষ অর্থনীতির দেশ ফ্রান্সে তা ১৪ শতাংশ।
খবরে বলা হয়েছে, ৪০তম আন্তর্জাতিক নারী দিবস সামনে রেখে এ তথ্য প্রকাশ করা হলো। যার আগে বছরজুড়েই নারীদের যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের প্রতিবাদস্বরূপ ‘#মিÑটু’ ক্যাম্পেইন চলেছে। এছাড়া নারী অধিকারের বিষয়টি বছরজুড়েই ছিল আলোচনায়। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ২০ লাখ মানুষ নারী অধিকার আদায়ে রাস্তায় নেমেছিল।
তবে এতে খুব বেশি অগ্রগতি অর্জিত হয়নি। বিশ্বজুড়ে এখনও প্রতিদিনই নারীরা নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। এছাড়া লিঙ্গভিত্তিক অর্থ প্রদানে বৈষম্য তো রয়েছেই। এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার ইউরোপিয়ান কমিশনের ২৮ সদস্যের মধ্যে ১৫ সদস্য একটি ঘোষণা দিয়েছে। যেখানে লিঙ্গ সমতা ইইউর প্রধান বিষয়বস্তু বলে জানানো হয়েছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কমিশনের শীর্ষ পদগুলোর অন্তত ৩৬ শতাংশ পদে নারী রয়েছে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্য ক্লদ জাঙ্কার আশা প্রকাশ করে বলেছেন, ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে তার দায়িত্ব শেষ হওয়ার আগে কমিশনের অন্তত ৪০ শতাংশ পদ নারীদের দ্বারা পূরণ হবে।