Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 7:23 pm

ইইউ’র সঙ্গে বাণিজ্য উত্তেজনা কমাতে সম্মত যুক্তরাষ্ট্র

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে চলমান বাণিজ্য উত্তেজনা কমিয়ে নিয়ে আসার বিষয়ে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রধান জ্যা-ক্লদ জাঙ্কারের সঙ্গে বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ কথা জানান। এর মাধ্যমে উভয় পক্ষের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ পরিস্থিতি প্রশমিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর বিবিসি।
বৈঠক শেষে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, উভয় পক্ষই শুল্কবিহীন বাণিজ্য নিশ্চিত করার বিষয়ে কাজ করবে। এছাড়া গাড়ির বাইরে অন্যান্য পণ্যের বাণিজ্যে ছাড়ের বিষয়েও কাজ করার কথা জানিয়েছেন তিনি। বৈঠকে দু’পক্ষই সেবা ও কৃষি বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়ে একমত হয়েছেন। এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সয়াবিন ইইউতে আরও বেশি পরিমাণে রফতানির বিষয়ে মতৈক্যে পৌঁছেছে উভয় পক্ষ। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউ’র মধ্যে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য উত্তেজনার মধ্যে এ সমঝোতায় পৌঁছালো বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় এ দুই বাণিজ্য অংশীদার।
উভয় নেতার মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য যুদ্ধাবস্থার কিছুটা প্রশমিত হলো বলে মনে করা হচ্ছে। ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম পণ্যে ট্রাম্প প্রশাসন কর্তৃক শুল্কারোপের মাধ্যমে এ উত্তেজনার সূচনা হয়। পরে গাড়ির ওপর আরোপিত শুল্ক বৃদ্ধি করার বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকিতে এ উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়। যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর করা মন্তব্য এবং ন্যাটো ও ইইউবিরোধী অবস্থানের কারণে সম্পর্ক আরও খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছিল।
উভয় পক্ষের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে দাবি করে হোয়াইট হাউজে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, এটা মুক্ত বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অনেক বড় দিন। এদিন আলোচনা শুরু হলেও এর ফল কি হবে তা জানা আছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এ সময় জ্যা-ক্লদ জাঙ্কার একটি ফলপ্রসূ আলোচনার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান। ডোনাল্ড জানান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে এলএনজি আমদানি বৃদ্ধি করবে ইইউ। এ সময় তাদের সবচেয়ে বড় ক্রেতা হিসেবেও উল্লেখ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও বেশি পরিমাণে সয়াবিনের মতো কৃষি ও সেবাপণ্যও আমদানি করবে ইইউ।
জ্যা-ক্লদ জাঙ্কার বলেন, শিল্পপণ্যের ওপর শুল্কারোপের পরিমাণ শূন্যে নামিয়ে আনাই ছিল তার প্রধান উদ্দেশ্য। এক্ষেত্রে একটি সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। এছাড়া আরও অনেক ক্ষেত্র নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে বলেও তিনি জানান।
যদিও বৈঠক শেষে গাড়ির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্কের বিষয়ে কোনো ধরনের ঘোষণা দেওয়া হয়নি। এছাড়া এক্ষেত্রে কি ধরনের অগ্রগতি হয়েছে সে বিষয়েও স্পষ্ট করে কিছু জানাননি উভয় নেতা। ইইউর গাড়ি আমদানির ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ শুল্কারোপ করার ঘোষণা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে জ্যা-ক্লদ জাঙ্কার বলেছেন, তারা উভয়ে জাতীয় নিরাপত্তা বাধা দূর করার ব্যাপারে একমত হয়েছেন।