নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিসহ সব দলের অংশগ্রহণ চেয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এমনটি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর গুলশানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক করেন ওবায়দুল কাদের। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, ইইউ’র সাতটি দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে কথা বলেছি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আজকের বৈঠক করা। ইইউ চায় আগামী নির্বাচনে বিএনপিসহ সব দল অংশ নেবে।
নির্বাচনে বিএনপিকে আনার বিষয়ে রাষ্ট্রদূতদের কোনো পরামর্শ ছিল কি না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা তো কারও নির্দেশনা শুনব না। আমাদের নির্দেশনা আমাদের সংবিধান এবং আমাদের গঠনতন্ত্র, যা আমরা ফলো করি। আমাদের দেশে ইলেকশনের যত রিফর্ম হয়েছে, তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে এবং তার উদ্যোগেই হয়েছে। এমনকি ইলেকশনের জন্য একটি আইনও সংসদে পাস হয়েছে।
আগামী জাতীয় নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক দেখতে চায় ইইউ। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা একটা কথা পরিষ্কারভাবে বলেছি, যেটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার তার বক্তব্যেও বলেছেন। আগামী নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য, সুষ্ঠু ও অবাধ হবে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন আমরা তাই প্রতিধ্বনি করেছি। আমাদের বক্তব্যের কোনো ভিন্নতা নেই।
তিনি আরও বলেন, এখানে প্রধানমন্ত্রীর যে ক্ষমতা ছিল তা হলো প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং তিনজন কমিশনার সিলেক্ট করা। সেই ক্ষমতার বলে তিনি আইনগতভাবে সার্চ কমিটি গঠন করেন ইন্ডিপেনডেন্ট লোকজনকে নিয়ে। তার মানে বাংলাদেশের ইতিহাসে ৭৫ সালের পর এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই এ উদ্যোগ নিয়েছেন। কাজেই আমরা ভালো একটা ইলেকশন চাই। সে লক্ষ্যে যা যা প্রয়োজন আমরা তাই করছি।
এ সময় ওবায়দুল কাদের জানান, বিএনপি নির্বাচনে যেতে চায় না। কারণ
তারা জানে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসবে। তাই হেরে যাওয়ার ভয়ে কূটকৌশল অবলম্বন করছে বিএনপি।
একই সঙ্গে ওবায়দুল কাদের জানান, তারা তথ্য পাচ্ছেন বিএনপি ২০১৪-১৫ সালের মতো আবার আগুন সন্ত্রাস করে সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা করছে।