শেয়ার বিজ ডেস্ক : গত এক দশকের মধ্যে গত বছর সবচেয়ে বেশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নাগরিক ব্রিটেন ছেড়েছেন। অন্যদিকে গত চার বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম ইইউ নাগরিক ব্রিটেনে গেছেন। ইইউ ত্যাগ বা ব্রেক্সিটের সিদ্ধাতেই অঞ্চলটির নাগরিকরা দেশটি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। খবর বিবিসি।
ব্রিটেনের জাতীয় পরিসংখ্যান দফতারের হিসাবমতে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক বছরে আঞ্চলিক এ জোটের সদস্য দেশগুলোর এক লাখ ৩০ হাজার নাগরিক ব্রিটেন ছেড়ে গেছেন। ২০০৮ সালের পর এটিই দেশটির ত্যাগ করা সবচেয়ে বেশি ইইউ নাগরিক সংখ্যা।
তবে ইউরোপীয় অভিবাসীর সংখ্যা কমলেও বেড়েছে ইইউ’র সদস্য নয়, এমন দেশগুলোর অভিবাসী সংখ্যা। অবশ্য সব মিলিয়ে মোট অভিবাসীর সংখ্যা কমেছে। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক বছরে দেশটিতে মোট অভিবাসীর সংখ্যা ২৯ হাজার কমে দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৪৪ হাজার। অর্থাৎ একই সময়ে যত সংখ্যক মানুষ ব্রিটেন ত্যাগ করেছেন তার চেয়ে ২৯ হাজার কম মানুষ দেশটিতে পাড়ি জমিয়েছেন।
ইইউ নাগরিকরা অধিক সংখ্যায় ব্রিটেন ছাড়লেও দেশটির অভিবাসন নীতি নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে ইউরোপের বাইরের দেশগুলো থেকে দেশটিতে পাড়ি দেওয়া ব্যক্তিদেরও।
জাতীয় পরিসংখ্যান দফতরের এ প্রতিবেদন প্রকাশের এক দিন আগে গত বুধবার ব্রিটিশ সরকারের ‘অন্যায্য’ অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন দেশটিতে বসবাসরত একদল ‘নন-ইউরোপিয়ান’ পেশাজীবী। লন্ডনে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে তারা এ বিক্ষোভে যোগ দেন। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, ব্রিটিশ সরকারের অভিবাসন নীতি দেশটিতে তাদের ‘রেসিডেন্সি স্ট্যাটাস’কে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
ইইউ’র বাইরের দেশগুলোর যেসব ব্যাপক দক্ষ জনশক্তি ব্রিটেনে কর্মরত রয়েছেন, মূলত তারাই বুধবারের এ বিক্ষোভে অংশ নেন। ব্রিটেনে অনির্দিষ্টকালের জন্য থাকার অনুমতিসংক্রান্ত (আইএলআর) আবেদন নিয়ে হোম অফিসের দেরি এবং ‘অন্যায্যভাবে’ এ-সংক্রান্ত আবেদন প্রত্যাখ্যানের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে জড়ো হন ইইউ-বহির্ভূত প্রবাসী পেশাজীবীরা।
ব্রিটেনে বসবাসরত ইইউ-বহির্ভূত কয়েক হাজার পেশাজীবীর একজন এই বাংলাদেশি ব্যবসায়ী। কয়েক বছর আগে টিয়ার ওয়ান (জেনারেল) ভিসায় দেশটিতে পাড়ি দেন তিনি। ন্যূনতম পাঁচ বছর ব্রিটেনে আইনসম্মতভাবে বসবাসের পর তিনি দেশটিতে আইএলআর বা স্থায়ী বাসস্থানের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ২০১০ সালে ভিসা ক্যাটেগরি বন্ধ হয়ে গেলেও আগে আবেদনকারীরা এই বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ব্রিটেনে বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন, যদি তারা আবশ্যিক শর্ত পূরণ করে থাকেন।