শেয়ার বিজ ডেস্ক: ব্রেক্সিট ঘিরে ব্রিটেনের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নতুন সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ব্রেক্সিট চুক্তির অন্তর্গত উত্তর আয়ারল্যান্ড প্রোটোকলের অংশবিশেষ পুরোপুরি বাতিল করার উদ্যোগ নেয়ার পর এ শঙ্কা দেখা দিয়েছে। খবর: ডয়েচে ভেলে।
ব্রিটেনের মূল ভ‚খণ্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের মধ্যে শুল্কসীমা কার্যকর করতে গিয়ে বাস্তব সমস্যার দোহাই দিয়ে ব্রিটেন সেই ব্যবস্থায় রদবদল করতে চায়। ইইউ সেই দাবি না মানলে চুক্তি ভাঙার হুমকি দিয়েছে ব্রিটেন। শেষ পর্যন্ত সেই আশঙ্কা সত্য হলে ব্রিটেনের সঙ্গে ইইউ’র বাণিজ্যযুদ্ধ এড়ানো কঠিন হবে।
ইইউ জানায়, দীর্ঘ টালবাহানার পর দুই পক্ষের সম্মতি নিয়ে স্বাক্ষরিত হয় ব্রেক্সিট চুক্তি, যার রদবদল আদৌ সম্ভব নয়। সেই কাঠামোর শর্ত অমান্য না করে ব্রিটেন কোনো ব্যবস্থা নিলে বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। একই সঙ্গে ব্রিটেনকে আরও জানিয়ে দেয়, একতরফাভাবে চুক্তিভঙ্গ করলে দেশটির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেয়া হবে। আয়ারল্যান্ড, জার্মানি ও ইইউ একতরফা পদক্ষেপ সম্পর্কে ব্রিটেনকে সতর্ক করে দিয়েছে।
ইইউ’র এই কঠোর অবস্থানের কারণে ব্রিটেন উত্তর আয়ারল্যান্ডে শান্তি বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে। সেইসঙ্গে বিষয়টি নিয়ে ইইউ’র সঙ্গে সংলাপও চালিয়ে যাবে ব্রিটিশ সরকার। তবে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি ব্রিটেন।
আয়ারল্যান্ডে সম্প্রতি ইইউপন্থি ক্যাথলিক দল শিন ফেন বিপুল ভোটে নির্বাচনে জয়লাভ করেও জোট সরকার গড়তে পারছে না। কারণ ব্রিটেনপন্থি প্রোটেস্ট্যান্ট ডিইউপি দল নর্দান আয়ারল্যান্ড প্রোটোকল বাতিল করার দাবি না মানলে সরকারে যোগ দিতে অস্বীকার করছে। ১৯৯৮ সালের শান্তি চুক্তি অনুযায়ী সরকারে দুই পক্ষেরই প্রতিনিধিত্ব আবশ্যক।
অর্থাৎ ব্রেক্সিট চুক্তির অন্তর্গত নর্দান আয়ারল্যান্ড প্রোটোকল লঙ্ঘন করা হলে ইউরোপে নতুন করে অশান্তি সৃষ্টি হতে পারে, যা সশস্ত্র রূপও নিতে পারে।
