নিজস্ব প্রতিবেদক: গভীর রাতে বাসায় ঢুকে হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। জাতীয় নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এই মাঠপ্রশাসন কর্মীকে দেখতে গিয়ে গতকাল তিনি একথা বলেন।
গতকাল বেলা ১১টায় হাসপাতালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ওয়াহিদা খানমের ক্যাবিনে গিয়ে তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। ক্যাবিন থেকে বের হয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন আর ওয়াহিদা খানমকে বিদেশে নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, আমার মনে হয়েছে তিনি সুস্থ আছেন। আমাদের এখানকার চিকিৎসকরা তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আমরা তার খোঁজখবর রাখছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও তার খোঁজ নিচ্ছেন।’
ইউএনওর চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান নিউরোট্রমার বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাক্তার জাহেদ হোসেন জানান, তিনি জ্ঞান হারানোর আগের ঘটনা মনে করতে পারছেন, এটা ভালো লক্ষণ। তার জ্ঞানের মাত্রা শতভাগ ঠিক আছে। তিনি আরও বলেন, ‘রোগীর হার্ট, রক্তচাপ ও স্নায়ুতন্ত্র ঠিকমতো কাজ করছে। অক্সিজেন সেচুরেশন স্বাভাবিক আছে। তার শরীরের ডান পাশ এখনও অবশ। এজন্য আমরা তাকে ফিজিওথেরাপি দিচ্ছি। এটা স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। শতভাগ ঠিক হবে কি না, তা আমরা এখনই বলতে পারছি না।’
গুরুতর আহত ওয়াহিদাকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার বিকালে হেলিকপ্টারে তাকে ঢাকার এনে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে নারায়ণগঞ্জের মসজিদে ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণের ঘটনায় কারও অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বিস্ফোরণের ঘটনায় আহতদের দেখতে গতকাল ঢাকা মেডিকেলের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গিয়ে তিনি একথা বলেন।
বিস্ফোরণের ঘটনায় মন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে অবহেলাজনিত কারণের ধারায় একটি মামলা করা হয়েছে। একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে এবং তদন্তে যদি কারও গাফলতি পাওয়া যায়, তাদের বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাসপাতালে আহতদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়ার পর জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিকভাবে খবর নিচ্ছেন। আহতদের সঠিক চিকিৎসা দিতে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় নিহত ও আহতদের কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। প্রাথমিকভাবে নিহতদের সৎকারের জন্য ২০ হাজার এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। তবে ক্ষতিপূরণের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।