Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 11:56 pm

ইউএনওদের ক্ষমতা খর্ব করে দেয়া হাইকোর্টের রায় স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: উপজেলা পরিষদে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) ক্ষমতা খর্ব করে দেয়া হাইকোর্টের রায় আগামী ৫ জুন পর্যন্ত স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। গতকাল বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ২৯ মার্চ বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারা বাতিল করে রায় ঘোষণা করেন। ওই ধারায় বলা হয়েছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হবেন এবং তিনি পরিষদকে সাচিবিক সহায়তা দেবেন। পরিষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, আর্থিক শৃঙ্খলা প্রতিপালন এবং বিধি মাধ্যমে নির্ধারিত অন্য কার্যাবলি পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সম্পাদন করবেন।

হাইকোর্টের রায়ের ফলে উপজেলা চেয়ারম্যানদের ওপর ইউএনওদের একচ্ছত্র কর্তৃত্ব থাকল না বলে জানিয়েছিলেন আইনজীবীরা। ওই দিন আইনজীবী ব্যারিস্টার হাসান এমএস আজিম বলেছিলেন, উপজেলা পরিষদে একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থাকা সত্ত্বেও একজন নির্বাহী কর্মকর্তাকে বেশি ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এটা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ কারণে ৩৩ ধারা বাতিল করেছেন আদালত।

২০২০ সালে ৭ ডিসেম্বর উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও দুমকী উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদ, অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মনোহরদী উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান, গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রিনা পারভীন, কালিয়াকৈর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম আহম্মেদ ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদা আক্তার।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারা কেন বাতিল করা হবে নাÑএ মর্মে রুল জারি করেন বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ।

এদিকে ২০২১ সালের ১৫ জুন উপজেলা চেয়ারম্যানদের ক্ষমতা খর্ব করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের ক্ষমতা দেয়ার বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেন পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার চেয়ারম্যান মো. আব্দুল আজিজসহ তিনজন। তাদের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮-এর ধারা ১৩ (ক) ১৩ (খ) ও ১৩ (গ) কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এসএম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।