প্রতিনিধি, দিনাজপুর: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সাবেক ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে হত্যাচেষ্টা মামলার একমাত্র আসামি রবিউল ইসলামকে (৪২) ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ১৩ হাজার টাকা অর্থ জরিমানা করেছে আদালত। অনাদায়ে আরও ১৩ মাস কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন আদালত।
মঙ্গলবার মামলার সকালে রায় ঘোষণা করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালত এবং স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক সাদিয়া সুলতানা। দিনাজপুর জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউশন পিপি রবিউল ইসলাম রবি রায় ঘোষণার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
দিনাজপুর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মনিরুজ্জামান জানান, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ইউএনও হত্যা চেষ্টা মামলায় দণ্ডবিধি ৩০৭ ধারায় ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং দণ্ডবিধি ৩২৫ ধারায় ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ৩ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
তিনি জানান, গত ২৬ সেপ্টেম্বর ওই মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয়। গতকাল একমাত্র আসামির উপস্থিতিতে এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। তিনি আরও জানান, মামলাটিতে মোট ৫৩জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামলায় একমাত্র আসামি ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের বরখাস্ত মালি রবিউল ইসলাম উচ্চতর আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন। তবে তার উপস্থিতিতেই আদালতে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি ডাক বাংলাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায় তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে দুপুর ১টায় হেলিকপ্টারে ওয়াহিদা খানমকে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ভাই শেখ ফরিদ বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
