প্রতিনিধি,বগুড়া: উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পরিচয়ে দুই হোটেল ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়া চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে বগুড়া জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার গাছাবাড়ী পশ্চিমপাড়ার তুহিন মিয়া (৩৫) ও তার এক সহযোগী ১৫ বছর বয়সী শিশু।
বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ইনচার্জ সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, সোমবার ভোর রাতে সাঘাটা উপজেলার গাছাবাড়ি গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, গ্রেপ্তার তুহিন মিয়া গত ৭ জুন সকাল ৯টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে বগুড়া সদর থানার ডিউটি অফিসারের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে। পরে তুহিন মিয়া তার ব্যবহƒত মোবাইল নম্বর থেকে বগুড়া সদর থানার ডিউটি অফিসারের সরকারি মোবাইল নম্বরে কল করে নিজেকে বগুড়া সদর উপজেলার ইউএনও পরিচয় দিয়ে জানায় বগুড়া সদর থানাধীন নামাজগড় এলাকায় একটি সমস্যা হয়েছে। জরুরি ডিউটি পার্টিকে তার সঙ্গে কথা বলতে বলেন। ডিউটি অফিসার সরল বিশ্বাসে এ নম্বরটি উপশহর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় ডিউটিরত টহল টিমের কর্তব্যরত অফিসারকে দিয়ে ইউএনও পরিচয় প্রদানকারী ব্যক্তির উল্লেখিত নম্বরে ফোন দিতে বলেন। টহল টিমের কর্তব্যরত অফিসার ইউএনও পরিচয় প্রদানকারী ব্যক্তিকে ফোন দিলে তিনি তাকে জানান যে, উপশহরে অবস্থিত খাবারের হোটেলে গিয়ে মালিককে তার সঙ্গে কথা বলিয়ে দিতে। টহল টিমের কর্তব্যরত অফিসার উপশহর বাজারের শাহিন হোটেলে গিয়ে হোটেল মালিককের সঙ্গে কথা বলিয়ে দিলে ইউএনও পরিচয়দানকারী তুহিন মিয়া কৌশলে হোটেল মালিকের মোবাইল নম্বর নিয়ে নেয় এবং টহল টিমের কর্তব্যরত অফিসারকে সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। কিছুক্ষণ পরে ইউএনও পরিচয়দানকারী তুহিন মিয়া উল্লেখিত মোবাইল নম্বর থেকে হোটেল মালিক শাহিনকে ফোন করে ২০ হাজার টাকা দিতে বলেন। না হলে অভিযান চালিয়ে হোটেল বন্ধ করে দেয়া হবে। পরে তিনি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দশ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন।
ডিবি ইনচার্জ আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা পেশাদার প্রতারক। তারা দুইজনে ইতঃপূর্বে ময়মনসিংহ, শরীয়তপুর, জামালপুর, লক্ষ্মীপুর, টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এভাবেই প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।